Hindu Hotel: ‘নো বীফ খাবার হোটেল বর্জন করুন’, বাংলাদেশে হুঙ্কার মৌলবাদীদের...
‘নো বীফ খাবার হোটেল বর্জন করুন’, ডাক বাংলাদেশি মৌলবাদীদের। সংগৃহীত ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের শাসনে ভালো নেই সে দেশের হিন্দুরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর নিত্য অত্যাচার তো চলছেই। এবার বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে মৌলবাদীরা। সে দেশের হিন্দু হোটেলগুলিতে (Hindu Hotel) যাতে কেউ না যায়, সে জন্য তৈরি হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘নো বীফ খাবার হোটেল বর্জন করুন’। কীভাবে হিন্দু হোটেল চেনা যাবে, সে কথাও পোস্টারে বলা হয়েছে ফলাও করে। নতুন উপদ্রব শুরু হওয়ায় বিপাকে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু হোটেল ব্যবসায়ীরা।
হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে ভালো নেই হিন্দুরা। নানা অছিলায় লুট করা হচ্ছে তাঁদের বাড়িঘর। লুটপাট চালানো হচ্ছে দোকানগুলোতেও। জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। উঠেছে হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও। তার পরেও স্রেফ দেশকে ভালোবেসেই সে দেশে বসবাস করছেন হিন্দুরা। এবার সেই হিন্দুদেরই আক্ষরিক অর্থেই ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশি মৌলবাদীরা। তারা প্রচার করছে, ‘যে হোটেলে গো-মাংস বিক্রি হয় না, সেটাই হিন্দুদের হোটেল। সেই হোটেলই বর্জন করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুদের বাংলাদেশছাড়া করতেই উদ্যোগী হয়েছে সে দেশের মৌলবাদীরা।
আরও পড়ুন: জল জীবন মিশন প্রকল্প বদলে দিয়েছে গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনীতির ভিত, ঠিক কীভাবে?
যে দেশে ৯৮ শতাংশ মানুষই মুসলমান, সে দেশে কেন নো বীফ লেখা হোটেল থাকবে, প্রশ্ন তুলে মিছিল করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ। সম্প্রতি পুরানো ঢাকার বংশালে আল রজ্জাক হোটেলের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয় (Bangladesh Crisis)। পরিষদের দাবি, নো বিফ লেখা খাবারের হোটেলগুলি ভারত ও হিন্দুত্ববাদীদের দালাল। তাই এই জাতীয় হোটেল বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হোটেলে যাতে গো-মাংস বিক্রি হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে পরিষদ। বীফ বিক্রি না হলে সমস্ত হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের তরফে। পরিষদের তরফে আরিফ আল খাবীর বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গরুর মাংস রাখতে হবে। যদি কোনও হোটেলে একটিও গরুর মাংসের তরকারি না থাকে, তবে সেই হোটেলটি (Hindu Hotel) হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে (Bangladesh Crisis)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।