Sheikh Hasina: “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছি”, বললেন প্রাক্তন হোয়াইট হাউস কর্ত্রী...
প্রাক্তন হোয়াইট হাউস কর্তার মুখেও হাসিনা-প্রশস্তি। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্রবাদ। তা নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগে, তা জানা গিয়েছে নানা সময়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আগেই। এবার উদ্বেগের সুর শোনা গেল হোয়াইট হাউসের ভূতপূর্ব এক কর্ত্রীর মুখেও।
লিসা কার্টিস নামের ওই কর্ত্রী বলেন, “ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ (পড়ুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এটি (উগ্রবাদ) নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি ভালো কাজ করেছিলেন।” ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন লিসা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর ছিলেন লিসা।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং তার পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।” বৃহস্পতিবার লিসা বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সঙ্কটময় সময়ের (Bangladesh Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রচেষ্টার ফলে অনেক আশা দেখা দিয়েছে। মানুষ আশাবাদী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।” সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো দেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। তিনিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?
সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লিসা বলেন, “তার পরেও অনেক উদ্বেগ রয়েছে। কিছু ইসলামী চরমপন্থীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)। কিছু সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের একটি ইতিহাস দেখেছি। ২০১৬ সালে আপনারা হোলি (আর্টিজান) বেকারি আক্রমণ দেখেছেন। এটি একটি খুবই গুরুতর ঘটনা। বাংলাদেশে কিছু আইসিস উপাদানও ছিল। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশে চরমপন্থী সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করেছেন।”
লিসা বলেন, “এটি এই অঞ্চলের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কারও পক্ষেই ভালো হবে না। আমরা এখন বাংলাদেশে একটি সংবেদনশীল (Bangladesh Crisis) সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই যদিও এটি (নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) ট্রাম্পের প্রথম অগ্রাধিকার নাও হতে পারে, তবে আমি মনে করি যা ঘটছে তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রেসিডেন্টকে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।