img

Follow us on

Tuesday, Jan 07, 2025

Bangladesh Crisis20: বিপন্ন গণতন্ত্র, ভাঙা হয় পার্লামেন্ট, জোর করে পদত্যাগ করানো হয় জনপ্রতিনিধিদের

Targeting Minority: কীভাবে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, তা নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন- ‘আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব’। আজ অষ্টম পর্ব।

img

আওয়ামি লিগের বিক্ষোভ (ফাইল ছবি)

  2025-01-06 07:19:53

অনেকেই বলছেন, হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বেছে বেছে যেমন মন্দির এবং ধর্মস্থানে অবাধে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়িতে, একই সঙ্গে মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে গণপিটুনি এবং খুন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট সংখ্যালঘু হিন্দু অথবা বিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠ। সারা বিশ্ব দেখছে, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইউনূসের স্বরূপ। ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হওয়ার পর গোটা বিশ্ব স্তম্ভিত। আওয়ামি লিগপন্থী জনপ্রতিনিধি, পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পদস্থ কর্তাদের কী করুণ পরিণতি হয়েছে, তাও কারও অজানা নয়। প্রথম খণ্ডে আমরা ১২টি পর্বে তুলে ধরেছিলাম নানা অত্যাচারের কাহিনি। এবার সেসব নিয়েই আমাদের দ্বিতীয় খণ্ডের ধারাবাহিক প্রতিবেদন। আজ অষ্টম পর্ব।

 

 আতঙ্কের বাংলাদেশে জঙ্গলের রাজত্ব -৮

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানবাধিকারকে রক্ষা করতে রাজনৈতিক স্বাধীনতা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে ২০২৪ সালের (Bangladesh Crisis20) অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই লঙ্ঘিত হতে থাকে মানবাধিকার। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। শুরু হয় অনাচার। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপরেও হামলা চলতে থাকে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জোর করে পদত্যাগ করানো হতে থাকে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে সে দেশের পার্লামেন্টকেও ভেঙে দেওয়া হয়। অন্তর্বর্তী সরকার জোর করে পদত্যাগ করায় বাংলাদেশের বারোটি নগর নিগমের মেয়রকে। একই সঙ্গে পদত্যাগ করানো হয় ১,৮৭৩ জন জনপ্রতিনিধিকে। পঞ্চায়েত স্তরেরও অজস্র জনপ্রতিনিধিকে পদত্যাগ করানো হয়। বাংলাদেশের ৩৩০টি পুরসভার পুরপ্রধানকেও পদত্যাগ করানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় ৬১টি জেলা পরিষদ। একই সঙ্গে ৪৯৫টির মধ্যে ৪৯৩টি উপ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করানো হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদমাধ্যমগুলির রিপোর্ট অনুযায়ী, উপ জেলা পরিষদের ৯৮৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করানো হয়। এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানায় নতুনভাবে ইলেকশন কমিশন তৈরি করার এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশে নির্বাচন করানোর। বাংলাদেশে এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যায় যে কোনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ।

অনাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় মানুষ

অনাচারের এই রাজত্বের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis20) ব্যাপক আকারে সরকার বিরোধী ক্ষোভ বাড়তে থাকে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তাতেও নামতে থাকেন। ঢাকা সমেত দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বিক্ষোভ (Targeting Minority) দেখা যায়। আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর থেকে রাজধানী ঢাকা কেন্দ্র হয়ে ওঠে বিক্ষোভ দেখানোর। চাকরিপ্রার্থীরা, নার্সদের বিভিন্ন সংগঠন, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের বিভিন্ন সংগঠন বিক্ষোভে নামে নিজেদের নানা দাবিকে সামনে রেখে।

ঢাকায় বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

২০২৪ সালে এসে ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis20) অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদ দৈনিক ইত্তেফাক রিপোর্ট দেয়, চাকরিপ্রার্থীরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ঢাকাতে। ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ মহম্মদ ইউনূসের বাড়ির সামনে যে কোনও ধরনের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রথম থেকেই নিষেধ করে। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ মহম্মদ ইউনূসের বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার আগেই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে, বিক্ষোভ সামাল দিতে। প্রসঙ্গত, কোটাবিরোধী আন্দোলনের কথা বলে এই ইউনূস সরকার ক্ষমতায় এসেছিল এবং অসাংবিধানিকভাবে জামাত-বিএনপি সহায়তায় হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। সেই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধেও একই ক্ষোভ দেখা যেতে থাকে। এখানেই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। আসলে কোটা বিরোধী আন্দোলন যে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে মৌলবাদীদের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মুখোশ ছিল, তা ধীরে ধীরে সামনে আসতে শুরু করে।

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে শ্রমিকরা

এই সময় বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis20) শ্রমিক বিক্ষোভও দেখা যায়। সেখানকার বিভিন্ন সংবাদপত্র শ্রমিক বিক্ষোভ নিয়ে খবরও করতে থাকে। শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭০টি কারখানা, যার মধ্যে ৫৯টি ছিল পোশাক তৈরির কারখানা সেগুলিকে বন্ধ করে দিতে হয়। এই কারখানাগুলি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত ছিল। কারখানার শ্রমিকরা নিজেদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানাতে থাকেন এবং কাজের পরিবেশ ভালো করার দাবি জানান তাঁরা। এর পাশাপাশি শ্রমিকরা অভিযোগ তোলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাঁদের কোনওভাবেই দেখভাল করছে না। বিক্ষোভ সামাল দিতে সেনা পর্যন্ত নামাতে হয় ইউনূস সরকারকে। সেনার গুলিতে নিহত হন ২ শ্রমিক।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

bangla news

Bengali news

targeting minority

Bangladesh Crisis20


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর