ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মার খাচ্ছে বাংলাদেশের...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতেও দ্রুত গতিতে উন্নতি করছিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। করোনা (Covid-19) পরিস্থিতির উন্নতি হলেও অব্যাহত ছিল বৃদ্ধির হার। পরে বাঁধে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Eukraine war)। এদিন নয়া একটি বিবৃতি জারি করে সরকার। সেখানেই বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে মার খাচ্ছে বাংলাদেশের (Bangladesh) রফতানি। মার খেয়েছে দেশের ফোরেক্স রিজার্ভসও।
সম্প্রতি হাঁড়ির হাল হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতির। জানা গিয়েছে, গত মাসে আর্থিক সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ দ্বারস্থ হয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অর্থ সাহায্য পাবে। দেশের অর্থনীতির হাল তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় কড়া সমালোচনা করেছিল বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি, সংক্ষেপে বিএনপি। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হয়েছিল তারা। লক্ষ্য ছিল, দেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ এবং ওই দলের প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোণঠাসা করা। প্রসঙ্গত, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
কী কারণে হাঁড়ির হাল হল বাংলাদেশের অর্থনীতির? আইএমএফ জানিয়েছে, বাংলাদেশের শক্তপোক্ত অর্থনীতি সম্প্রতি জোর ধাক্কা খেয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে। এই যুদ্ধের জেরে নগদের জোগানে টান পড়েছে। দ্রুত কমতে শুরু করে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, কমেছে বৃদ্ধি।
আরও জানা গিয়েছে, মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার দর গত কয়েক মাসে পড়েছে হু হু করে। এর ফলে বেড়েছে আমদানি খরচ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যেখানে বাংলাদেশি টাকায় এক মার্কিন ডলারের মূল্য ছিল ৮৬টাকা, সেখানে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকায়। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারেও পড়েছে টান। গত বছর ডিসেম্বরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ১৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাই এখন কমে দাঁড়িয়েছে, ৩৩ হাজার ৭৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
Tags: