img

Follow us on

Friday, Sep 20, 2024

Bangladesh: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৫, কার্ফু জারি দেশজুড়ে, নামল সেনা

Anti Reservation protest: বাংলাদেশে কারাগারে হামলা বিক্ষোভকারীদের, পালাল শতাধিক কয়েদি 

img

অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে মৃত ১০৫ (সংগৃহীত ছবি)

  2024-07-20 09:30:16

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ (Bangladesh)। নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৫, এখনও পর্যন্ত সেই পরিসংখ্যানই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। এই আবহে দেশজুড়ে হাসিনা সরকার জারি করল কার্ফু। শুক্রবার রাতেই এ কথা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন শেখ হাসিনার সরকারের প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান বলেন, “সরকার কার্ফু জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।” পাশাপাশি, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্যের পাশাপাশি শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনা নামানো হয়েছে (Anti Reservation protest)।”

বেড়েই চলেছে মৃত্যু সংখ্যা

হিংসাত্মক আন্দোলনে প্রতিবাদী পড়ুয়া ও পুলিশ-সরকারপক্ষের সংঘর্ষে একের পর এক প্রাণের বলি হচ্ছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে। বিভিন্ন বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই একশ পার করেছে। শেষ খবর অনুযায়ী, ১০৫ জন মারা গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা ৪০-র ঘরে ছিল। শুক্রবার সেই সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আহতের সংখ্যাও। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, তাতে ২৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন  বলে জানা গিয়েছে।

কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের নেতা?

অন্যদিকে, সংরক্ষণ ইস্যুতে হাসিনা সরকার (Bangladesh) আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেও তাঁরা তা খারিজ করেছেন। শীর্ষস্থানীয় আন্দোলনকারী নেতা সরোয়ার তুষার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।” প্রসঙ্গত, আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বন্ধ (Anti Reservation protest) রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল। আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখেছে হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাংলাদেশের স্তব্ধ হয়ে গেছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, গুজব রুখতেই এমন ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি যে কোনও ধরনের মিছিল-সমাবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাসিনা সরকার। তবে এতেও পরিস্থিতি খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।

জেলে হামলা বিক্ষোভকারীদের

এর মধ্যেই নরসিংডি জেলার একটি জেলে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলির দাবি, ওই আগুন লাগানোর ফলে জেল থেকে শতাধিক কয়েদি পালিয়ে (Bangladesh) গিয়েছে। এক জেল আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা জেলে হামলা করার পরে শতাধিক কয়েদি পালিয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, তিনি নিজেই অন্তত কুড়ি জন কয়েদিকে পালাতে দেখেছেন। এদিকে যে সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ ছিলেন তাঁরা দেশে ফিরছেন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চুয়াডাঙ্গা দর্শন চেক পোস্ট হয়ে তাঁরা ফিরছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৭০জন পড়ুয়া ভারতে ফিরেছেন। এর পাশাপাশি পড়শি দেশ নেপালেও ফিরে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা।

কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Bangladesh

bangla news

Bengali news

curfew in Bangladesh

anti-reservation protest Bangladesh


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর