img

Follow us on

Thursday, Nov 21, 2024

Bangladesh Interim Govt: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ খালিদ হোসেন! জানুন পরিচয়

AFM Khalid Hossain: হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ায় হেফাজত-ই ইসলাম, বাংলাদেশে সরকারে তারাও!...

img

মহম্মদ ইউনূস ও এএফএম খালিদ হোসেন।

  2024-08-10 18:16:35

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরাজক বাংলাদেশের (Bangladesh Interim Govt) হাল ধরতে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান হয়েছেন নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। চমক রয়েছে অন্যত্র। সেটা হল, বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা তথা বাংলাদেশের সাবেক নায়েব আমির ও ইসলামি চিন্তাবিদ এএফএম খালিদ হোসেন (AFM Khalid Hossain)। তাঁর দলের বিরুদ্ধে হিন্দু বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে।

শুভেচ্ছা মোদির (Bangladesh Interim Govt)

সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুরু হয় হিন্দু নিধন যজ্ঞ। গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৮ অগাস্ট বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের হাল ধরেন ইউনূস। বাংলাদেশের নোবেল জয়ী অধ্যাপককে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারে খালিদ

ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Interim Govt) সদস্য সংখ্যা ১৭। এঁদেরই একজন এএফএম খালিদ হোসেন। তার পুরো নাম আবুল ফয়েজ মহম্মদ খালিদ হোসেন। তিনি হেফাজত-ই-ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি যুক্ত বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। খালিদ হোসেনের দলটি কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন। এই সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে হিন্দু নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খালিদ আন্তর্জাতিক ইসলামি বক্তা। তিনি এবং হেফাজত-ই-ইসলামের আরও কয়েকজন নেতা হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মুসলমাদের প্রভাবিত করেছেন। হাসিনা সরকারের সঙ্গে ভারত সরকারের সম্পর্ক ভালো। সেই সম্পর্কের বিরুদ্ধেও তিনি মুসলমানদের প্রভাবিত করেছেন বলে অভিযোগ। বাংলাদেশের একটি কলেজে তিনি ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার বিভাগের অধ্যাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ইসলামিক ছাত্র সমাজের প্রেসিডেন্টও তিনি। এই ইসলামি ছাত্র সমাজ হল নিজাম-ই-ইসলাম পার্টির ছাত্র শাখা।

হেফাজত-ই-ইসলাম

২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রামে জন্ম হয় হেফাজত-ই-ইসলামের (AFM Khalid Hossain)। প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইসলামপন্থী আহমেদ শফি। সংগঠনের লক্ষ্যই হল ইসলাম বিরোধী উদ্যোগ থেকে ইসলামকে রক্ষা করা। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা লোপ এবং কঠোর ইসলামি বিশ্বাসের প্রচারের লক্ষ্যও ছিল এই ইসলামিক সংগঠনের। এই গোষ্ঠীটি সুন্নি ইসলামপন্থী, তাদের মাদ্রাসা নেটওয়ার্ক এবং সমর্থকদের নিয়ে গঠিত। এর নেতারা সব সময় প্রকাশ্যে রাজনৈতিক ও আইনি সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে। বাংলাদেশে শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার দাবিও জানিয়েছে। আক্রমণ শানিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থাকে। ২০১৩ সালে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি ১৩ দফা প্রস্তাব পেশ করেছিল। এর মধ্যে লিঙ্গ বিচ্ছিন্নতা ও বাংলাদেশে জেলবন্দি ইসলামিক পণ্ডিতদের মুক্তি দেওয়াও ছিল। তারা জামাত-ই-ইসলামি আধিকারিকদের ফাঁসির দাবিও জানিয়েছিল (Bangladesh Crisis)। নিন্দা করেছে ধর্মনিরপেক্ষ পদক্ষেপের।

আরও পড়ুন: এসসি-এসটি’র মধ্যে পৃথক ‘ক্রিমি লেয়ার’ হবে কি? অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র

“অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”

২০২১ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পরেই ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে মুসলমানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামের এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলাদেশে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় সরকারি অফিসেও। মোদি চলে আসার পর হিন্দুদের মন্দিরেও হামলা চালায় মুসলানদের এই গোষ্ঠীটি। হেফাজত-ই-ইসলামির সদস্যরা চিৎকার করতে থাকে, “অ্যাকশন, অ্যাকশন, ডিরেক্ট অ্যাকশন”। প্রসঙ্গত, ১৯৪৬ সালে মহম্মদ আলি জিন্নার ‘ডিরেক্ট অ্যাকশন’-এর উল্লেখের জেরে বাংলায় ব্যাপক গণহত্যা হয়।

বাংলাদেশ হবে তালিবান রাষ্ট্র!  

বাংলাদেশে ওই হিংসার ঘটনার পর গ্রেফতার করা হয় হেফাজত-ই-ইসলামের বেশ কয়েকজন নেতাকে। ক্ষমতায় এলে তারা বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বলে কবুল করেছে। ওই গোষ্ঠীরই এক প্রভাবশালী নেতা মামুনুল হক স্বীকার করেছেন, তিনি এবং তাঁর মতো আরও কয়েকজন বাংলাদেশকে তালিবান রাষ্ট্রে পরিণত করার পরিকল্পনা করেছিল। বাংলাদেশে অরাজক পরিস্থিতির মধ্যেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে হেফাজত-ই-ইসলামের কয়েকজন নেতা। তার জেরে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চলছে।

মাদানির উসকানি

রফিকুল ইসলাম মাদানি নামের এক হেফাজত-ই-ইসলাম নেতা মুসলমানদের এই বলে উসকানি দিয়েছিলেন যে, শেখ হাসিনা হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করছেন। মোদি যা চেয়েছিলেন, বাংলাদেশে তাই হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “আজ সমস্ত মন্দির আপগ্রেড করা হচ্ছে। এখানকার মসজিদগুলি শেষ হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের নামে ওরা মসজিদ-মাদ্রাসা বন্ধ করে দেবে। আমরা চাই দেশটি (AFM Khalid Hossain) একটি সত্যিকারের ইসলামি প্রজাতন্ত্র হোক (Bangladesh Interim Govt)।”

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

 

 

 

Tags:

Madhyom

India

Bangladesh

bangla news

Bengali news

court news

news in bengali

bangladesh crisis

Islamist

Afm Khalid Hossain

khalid Hossain

interim govt


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর