img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Bangladesh: ৮ দফা দাবিতে হিন্দুদের বিরাট গণসমাবেশ চট্টগ্রামে, ঢাকার অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা

Hindu Mass Gathering: ‘‘উৎখাতের চেষ্টা হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে’’, হিন্দুদের বিরাট গণসমাবেশ বাংলাদেশে…

img

চট্টগ্রামে হিন্দুদের বিরাট সমাবেশ। সংগৃহীত চিত্র।

  2024-10-26 13:04:29

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ৮ দফা দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরাট গণসমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে ঢাকার অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন  বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি কট্টর মৌলবাদী ইসালামি জেহাদিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সনাতনীদের এদেশ থেকে উৎখাতের চেষ্টা হলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। সনাতনীদের (Hindu Mass Gathering) উপর অত্যাচার যত হবে আমরা তত বেশি ঐক্যবদ্ধ হব। দাবি আদায়ে বিভাগ ও জেলায় সমাবেশ শেষে আমরা ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করব।”

ট্রাইব্যুনাল গঠন করে হিন্দু নির্যাতনের বিচার (Bangladesh)

শুক্রবার, বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাহীন হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের লালদিঘি মাঠে গণসমাবেশ করেন নির্যাতিত হিন্দুরা। গত ৫ অগাস্ট গণভবনে ছাত্র আন্দোলনের নামে ওই দেশে রাজনৈতিক তীব্র অস্থিরতা শুরু হয়। ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত এবং বিএনপি সমর্থকরা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। এরপর দেশের বেশিরভাগ থানা, আওয়ামী লীগ সমর্থক সহ হিন্দুদের উপর চরম আঘাত নেমে আসে। আইনের শাসন ছিল না। অন্তর্বর্তী সরকারে সেনার শাসন থাকলেও জেলা থেকে শহর সর্বত্র হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকান, চাষের জমি সহ সম্পত্তি লুট, মন্দির ধ্বংস করা, হিন্দু নারীদের জোর তুলে নিয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বহু জায়গায় ঘটেছে। এবছর হিন্দুদের বড় উৎসব দুর্গাপুজোর নানা ভাবে হামলা করেছে দুষ্কৃতীরা। চলেছে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড। এই অবস্থায় ভারতের কোচবিহার সীমান্তে প্রচুর শরণার্থী আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তবুও ইউনূস প্রশাসন নির্বিকার। সকল অত্যচারের বিরুদ্ধে এদিন বিরাট প্রতিবাদ সভা হয় লালদিঘিতে। সমস্ত হিন্দুরা মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। এদিনের আট দাফ দাবির মধ্যে ছিল, ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindu Mass Gathering)  নির্যাতনের বিচার, সংখ্যালঘু কমিশন সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন এবং দুর্গাপুজায় ৫ দিন ছুটি ঘোষণা।

এদেশ ছেড়ে কোথাও যাব না

শুক্রবারের সমাবেশে নিপীড়িত হিন্দু (Hindu Mass Gathering) সমাজের (Bangladesh) দাবি ছিল, ‘‘আমার মাটি আমার মা এদেশ, কোথাও ছেড়ে যাব না।’’ এই স্লোগান দিয়ে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, ছাত্র-ছাত্রী সহ প্রচুর মানুষ দলে দলে সমাবেশে যোগদান করেন। বেলা আড়াইটার পর থেকে চট্টগ্রাম শহর এবং বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে জনসমাগম আসতে শুরু করে। বেলা ৩টেয় লালাদিঘি মাঠ ভর্তি হয়ে আশেপাশের এলাকা ভরে যায়। বিকশিবিট থেকে শুরু করে কেসি দে রোড, জেল রোড, লাল দিঘির চারপাশ হয়ে কতোয়ালি মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সকলের হাতেই পতাকা ফেস্টুন ছিল।

দ্বিতীয়–তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক নই

এদিন বক্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলেন, “কেউ যদি আমাদের (Bangladesh) উৎখাত করে শান্তিতে থাকার চেষ্টা করেন, তাহলে এভূমি আফগানিস্তান হবে, সিরিয়া হবে। সাম্প্রদায়িক আচরণ করে কোনও শক্তি গণতান্ত্রিক সুবিধা পাবেন না। ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও দেশে কোনও স্থিরতা আসছে না। সহনশীলতা লুপ্ত হচ্ছে। সম্মানবোধ হারিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষককে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। শুধু সংখ্যালঘু পরিচয়ে ৯৩ জনকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দুদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা এই অপকর্মের বিরদ্ধে নীরব থাকতে পারব না। বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। দ্বিতীয়–তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক নই আমরা, তাই আমাদের স্বার্থকে আঘাত করে সংবিধান সংশোধনকে মানব না। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি একজন হিন্দু (Hindu Mass Gathering) হয়েছেন। আর এ দেশে একজনকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা হয়েছে। জেএম সেন হলে মামলায় আসামিদের জামিন হয়ে গেল। আমাদের ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানলে জামিন পায়। আর হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বললে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। এই কাজ অত্যন্ত অন্যায়। প্রশাসন-সরকার অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করছে।”

আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন

আবার পটিয়া পাঁচরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ বলেন, “এই মাটির (Bangladesh) স্বাধিকারের জন্য বিপ্লবী সূর্য সেনরা জীবন দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। এই আন্দোলন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন।” একই ভাবে এদিন শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ তপনানন্দ গিরি মহারাজ, ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারী, বাঁশখালী ঋষিধামের মহন্ত সচিদানন্দ পুরী মহারাজ, কৈবল্যধামের মহারাজ কালিপদ ভট্টাচার্য, স্বামী গোপীনাথ মহারাজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ক্রমবর্ধমান হিন্দু অত্যাচারের বিরুদ্ধে একাটাই আওয়াজ, এই দেশ কাউর বাপ-দাদার নয়, আমরা দেশ ছেড়ে যাবো না।

শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া

পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বাংলাদেশে (Bangladesh) এই প্রতিবাদ সভা সম্পর্কে বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সনাতনী সম্প্রদায়ের (Hindu Mass Gathering) উপর আধিপত্য বিস্তার ও নিপীড়নের মধ্যেই, হিন্দুরা আজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের ঐতিহাসিক লাল দিঘিতে সমবেত হয়েছে। আমি সীমান্তের ওপারের আমার সনাতনী বোন ও ভাইদের আশ্বস্ত করতে চাই, এই সংকটের সময়ে আমরা আপনাদের পাশে আছি। প্রকৃতপক্ষে, সারা বিশ্বের সমগ্র সনাতন সম্প্রদায় আপনার সাথে আছে। ধৈর্য ধরে থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন এবং শক্ত থাকুন।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Suvendu Adhikari

bangla news

Bengali news

Chittagong

news in bengali

Bangladesh  

mass gathering of hindus


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর