Chinmoy Prabhu: চিন্ময় প্রভুকে বাঁচাতে ফের ২ জানুয়রি চট্টগ্রামে যাব, জানালেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ…
বাঁ দিকে আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ এবং ডান দিকে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) চিন্ময়প্রভুর (Chinmoy Prabhu) মৃত্যুর আশঙ্কা করলেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। গত শুনানিতে কিছুই করা যায়নি, কারণ আদালতের বিচারকের যুক্তি ছিল, যেহেতু আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ ঢাকায় প্র্যাকটিস করেন, তাই চট্টগ্রামে করতে পারবেন না। এই অদ্ভূত যুক্তি প্রমাণ করে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের প্রতি গভীর ষড়যন্ত্র করছেন বিচার ব্যবস্থা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। সাংবিধানিক অধিকার নেই। তাই বারাকপুরে এসে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বিনিময় করলেন তিনি। তাহলে কি বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মগুরুকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে?
গত ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Prabhu)-কে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করেছে ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে তাঁর আইনজীবীদের আদলাত চত্বরে মারধর করা হয়, এমনকি তাঁদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। আগামী ২ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি। ঠিক তার আগে ভারতে এসেছেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কীভাবে মিথ্যা মামলা থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে উদ্ধার করা যায় সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। তিনি এদিন ভারতীয় সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওঁর প্রাণহানির আশঙ্কা করছি। আমি মরতে ভয় পাই না, আমি শুধু আইনজীবী নই, এক জন মানবাধিকার কর্মীও। পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে যাব।”
কোনও আইনজীবীদের লড়তে দেওয়া হচ্ছে না
আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, “ঢাকা (Bangladesh) থেকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছি। এখানে সাত-আট দিন থাকব। আমি আইনজীবী হিসেবে ৩৮ বছর ধরে কাজ করছি। মূলত ঢাকায় কাজ করি। চট্টগ্রামে চিন্ময়কৃষ্ণ (Chinmoy Prabhu)-কে ন্যায় বিচার দিতে গিয়েছিলাম। কোনও আইনজীবীদের লড়তে দেওয়া হচ্ছে না ওখানে। জামিন অযোগ্যধারায় বেশ কিছু মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন আইনজীবীকে খুন করা হয়েছে, কিন্তু তাঁকে কারা খুন করেছে তা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছ। তবুও ৭১ জন হিন্দু আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ জল্পনার অবসান! বাংলাদেশ নির্বাচন কবে, দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন ইউনূস
রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, “আমি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু (Chinmoy Prabhu)-কে দেখার জন্য ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন্সের থেকে অনুমতি নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিচ্ছিলেন না। পরে মিনিস্ট্রি অফ হোমস অনুমতি দিয়েছে। আইনজীবী হিসাবে প্রভুর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিই। এরপর চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তাঁর কান্না জড়ানো কন্ঠ ছিল, চোখে জল এসে গিয়েছিল। তিনি বলছেন, বাবা কেমন আছেন? আমি বললাম, আপনি কেমন আছেন? বলতেই আমাকে জড়িতে ধরলেন। তিনি কেবল একা নন, আরও দুজন সাধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন প্রভু। একটা ফটো তোলা হয়েছিল সেটা আমাকে ডেপুটি জেলার দেয়নি। আমাকে বলেছিল, হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেবে, কিন্তু পাঠায়নি। তবে আমি আগামী ২ জানুয়রি ফের চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালতে যাবো। ওঁর জন্য লড়াই করব, প্রভুর মৃত্যু ভয় আমার মধ্যে কাজ করছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।