Chinmoy Krishnas Das: হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীদের টার্গেট করে খুনের মামলা দায়ের চট্টগ্রামে…
হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে আদালতে তোলার মুহূর্তে। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে 'মিথ্যা মামলা' দিয়ে ইউনূস সরকারের প্রশাসন গ্রেফতার করার পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। চট্টগ্রামের হিন্দু নিপীড়ন, মন্দির ভাঙচুর-লুটপাট এবং ধর্মগুরুর নিঃশর্তে মুক্তি-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন সনাতনীরা। নিরাপত্তা এবং শান্তি চেয়েছে আপামর হিন্দু সমাজ। পাল্টা ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার মোট ১১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। উল্লেখ্য, এইসব মামলায় ৭০ জন আইনজীবী এবং দুজন সাংবাদিকও রয়েছেন, যদিও প্রত্যেকেই তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর (Chinmoy Krishnas Das) আইনজীবী ছিলেন।
অনেকেই বলছেন, শান্তিতে নোবেল পাওয়া মহম্মদ ইউনূস তাঁর দেশে হিন্দুদের সঙ্গে কতটা অভব্য আচরণ করছেন, তা অনুমেয়। এই বিষয়ে ভারত সহ বিশ্বের একাধিক দেশ ওই দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে।
ঢাকায় (Bangladesh) হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishnas Das) গত ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরদিন যখন চট্টগ্রামে তাঁকে আদালতে তোলা হবে সেই সময় এই প্রভুর ভক্তরা আদালত চত্বরে গেলে উগ্র জনতা এবং সেনা-প্রশাসন ব্যাপক মারধর করে। হিন্দুদের লক্ষ্য করে লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই সময়েই হিন্দুপক্ষের আইনজীবী মনে করে পিটিয়ে খুন করা হয় সাইফুলকে। বর্তমানে পুলিশ এই খুনের মামলার তদন্ত করছে। এই মামলায় হিন্দুদের ফাঁসনোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে চট্টগ্রামের হিন্দু পক্ষ।
আরও পড়ুনঃ চিন্ময়কৃষ্ণের পরে শ্যামদাস প্রভু, আরও এক ইসকন সন্ন্যাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে
মৃত সাইফুলের ভাই খানে আলম চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবীদের নামে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। হত্যা নিয়ে মোট ৫টি মামলা করা হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামের (Bangladesh) হিন্দু আইনজীবীদের দাবি, মূলত হিন্দুদের টার্গেট করতে খুনের মামলায় হিন্দু আইনজীবীদের নাম দেওয়া হয়েছে। এরপর গত ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহরের কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলায় নিহত সাইফুলের বাবা জামালউদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের বিরুদ্ধে হত্যার মামলা করেছেন। আবার থানার ওসি আবদুল করিম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নিহত সাইফুলের ভাই বাদী হয়ে ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচিতি আরও ৫০০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী নিতাইপ্রসাদ ঘোষ, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি চন্দন কুমার তালুকদার, আইনজীবী নিখিলকুমার নাথ, আইনজীবী চন্দন দাস, রুবেল পাল, সুমন আচার্য, আশীর্বাদ কুমার বিশ্বাস এবং আরও অনেকে।”
চট্টগ্রামের (Bangladesh) আইনজীবী নিতাইপ্রসাদ ঘোষ বলেন, “মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে হিন্দু আইনজীবীদের। আদালত চত্বরে কোনও বিস্ফোরণ হয়নি। সেখানে বিস্ফোরক রাখার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। চট্টগ্রাম আদালতে নয় হাজার আইনজীবীর মধ্যে নয়শো জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাঁদের মধ্যে যাঁরা সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন, বেছে বেছে তাঁদেরকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সবটাই বৃহৎ হিন্দুশূন্য করার ষড়যন্ত্র।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।