London: অশান্ত বাংলাদশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার, লন্ডনে প্রতিবাদ মিছিলে বাংলাদেশি-ভারতীয় প্রবাসীরা, কী দাবি জানালেন?
প্রতিবাদ মিছিল (বাঁদিকে), অশান্ত বাংলাদেশের ছবি (ডানদিকে) (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ জুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে একের পর এক মন্দির। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু অসহায় হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হলেন বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) ও ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের (London) রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে শত শত মানুষ সামিল হন।
বাংলাদেশি (Bangladesh Protest Rally) এবং ভারতীয় প্রবাসী সদস্যরা আইকনিক বিগ বেনের কাছে জড়ো হন। সেখান থেকে প্রতিবাদ মিছিল করে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে এগিয়ে যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করার দাবিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে সরব হন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও যোগ দিয়েছিলেন। সংখ্যালঘুদের অবস্থা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। বিশেষ করে, হিন্দুরা যাঁরা রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশজুড়ে গণহত্যার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। মিছিলে প্রতিবাদকারীদের হাতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা বন্ধ করার প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা ৫ অগাস্ট সারা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ৪০টিরও বেশি ঘটনার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের
প্রতিবাদ মিছিলের (Bangladesh Protest Rally) পর প্রতিবাদকারীদের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ছিনতাই এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। মানবাধিকার লঙ্ঘন উদ্বেগজনক এবং বাংলাদেশে বসবাসকারী বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের জন্য এটা একটি গুরুতর হুমকি। চরমপন্থী গোষ্ঠী এবং নির্দিষ্ট কিছু ইসলামিক সংগঠন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালের ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তি ভাঙচুর করে অপমান করা হয়েছে। এসব ঘটনা ইঙ্গিত করে যে চরমপন্থীরা রাজনৈতিক ইস্যুকে সামনে রেখে এসব করছে। কারণ, ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে মূর্তি নিষিদ্ধ।
হাসিনা পদত্যাগ করার পর বাংলাদেশ (Bangladesh Protest Rally) জুড়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। এর আগে, অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনও (এজেএ) বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। মঙ্গলবার ৬ অগাস্ট জারি করা একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি অ্যাসোসিয়েশনের সিইও রবার্ট গ্রেগরি বলেন, "বাংলাদেশে আমরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ভয়ঙ্কর ফুটেজ দেখেছি। অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে অবশ্যই নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।