Indian fishermen: ভারতীয় মৎস্যজীবীদের জেল থেকে মুক্তি দিল বাংলাদেশ, কেন জানেন?
বন্ধ গলাবাজি, সুর নরম করছে বাংলাদেশ (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চাপে সুর নরম করতে বাধ্য হল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতের মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে কড়া বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ইউনূস সরকার। পাল্টা ভারতও বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। অবশেষে পিছু হঠল ইউনূস সরকার। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী। প্রায় আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের জলসীমার ভিতর ঢুকে পড়ায় কাকদ্বীপের ছ'টি ট্রলারকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই ট্রলারগুলিতেই ছিলেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। অন্যদিকে, এবার ১২ জন বাংলাদেশিকে মুক্তি দিল ভারত।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ওই ৯৫ জনের (Indian fishermen) বিরুদ্ধে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ অনুসারে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আটক ছ'টি ট্রলারও ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
আরও পড়ুন: অসমে কয়েক দশকের গড়ে ধস, কংগ্রেসকে ধরাশায়ী বিজেপির তরুণ তুর্কি দীপলুর
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের বাংলাদেশে (Bangladesh) গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি জানার পরেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জেলেদের "বিচার থেকে প্রত্যাহার" করার জন্য বলেছিল, যারা সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পাথরপ্রতিমার কাছে তাদের নৌকা ডুবে যাওয়ার সময় ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তাদের বিদেশি আইনের ১৪ ধারায় গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাদের পশ্চিমবঙ্গে না রেখে ওড়িশাতে রাখা হয়েছিল। বাংলাদেশ সুর নরম করার পর ভারতে থাকা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের ছাড়ার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন সাবসিডিয়ারি কারেকশনাল হোমের কন্ট্রোলার দেবব্রত রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, "১২ বাংলাদেশি (Bangladesh) নাগরিককে ছেড়ে দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।" বাংলাদেশি জেলেদের ডায়মন্ড হারবার সাবসিডিয়ারি কারেকশনাল হোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা আধিকারিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।