Idols Vandalised: ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরের তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মোট আটটি মূর্তি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হামলা চলছেই। বাদ যাচ্ছে না হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিও। সে দেশে ফের ভাঙা হল মূর্তি। বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়মনসিংহ ও দিনাজপুরের তিনটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মোট আটটি মূর্তি ভেঙে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও মৌলবাদীকেই গ্রেফতার করতে পারেনি বাংলাদেশের পুলিশ। শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সে দেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার বন্দেরপাড়ায় স্থানীয় রাধাগোবিন্দ মন্দিরের হামলা চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মন্দিরের সাতটি মূর্তি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুটি মূর্তির মাথায় আংশিকভাবে আঘাত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনটি প্রতিমা আংশিক ভেঙে ফেলা হয়েছে। এমনটাই জানা গিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পুলিশ রিপোর্টে।
অন্যদিকে, শুক্রবারই লোকসভায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় চলতি বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ২২০০-র বেশি হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। ময়মনসিংহ জেলার ঘটনায় থানার ওসি এবং উপজেলা পুলিশ আধিকারিক ঘটনাস্থলে গিয়েছে বলে খবর। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কিছু জানাতে পারেনি। প্রসঙ্গত, সপ্তাহ দুই আগেই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ভারত সরকার যে উদ্বিগ্ন তা তিনি বুঝিয়ে দেন ইউনূস সরকারকে। কিন্তু এই আবহে ফের হামলা হল একাধিক হিন্দু মন্দিরে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলায় ঝাড়বাড়ি শ্মশান কালী মন্দিরের পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার মূর্তি ভাঙা হলেও বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রথমবার সামনে আসে। আর তারপরেই সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দন রায়। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক আবদুল গফুর জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।