img

Follow us on

Friday, Oct 18, 2024

Bangladesh: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

Bangladesh Supreme Court: সংরক্ষণ ইস্যুতে কী বলল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট

img

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

  2024-07-21 15:16:57

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দিল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court)। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতে এদিন আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণ ব্যবস্থা সংস্কার করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের সংরক্ষণ নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্তকে গত ৫ জুন অবৈধ বলে ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। এরপরেই সংরক্ষণ ইস্যুতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। অগ্নিগর্ভ হয় সে দেশের পরিস্থিতি। সরকারকে জারি করতে হয় কার্ফু। শতাধিক মানুষ নিহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামাতে হয় সেনা।

হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত (Bangladesh) অনেকটাই বহাল থাকল

ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ওই নির্দেশকে খারিজ করল। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষেই বেশ কিছুটা গিয়েছে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হুবহু তা এদিন বহাল রাখেনি বাংলাদেশের (Bangladesh) শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টের রায় বাতিল করা হয়েছে বটে তবে সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল হয়নি।

শীর্ষ আদালতের রায়ের বিশ্লেষণ 

এদিনের রায়ের ফলে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য। বাকি ২ শতাংশ সংরক্ষণ থাকবে অন্যান্য শ্রেণীর জন্য। বাকি ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। এদিন রায় ঘোষণার পাশাপাশি পড়ুয়াদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে বলেছে শীর্ষ আদালত। শুনানির পরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট (Bangladesh Supreme Court) জানিয়েছে, হাই কোর্টের রায় বেআইনি ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। অন্যান্য শ্রেণির জন্য থাকবে আরও দুই শতাংশ সংরক্ষণ।’’

কেন সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তাল বাংলাদেশ?

বাংলাদেশের (Bangladesh) সংরক্ষণের নিয়ম নিয়েই এই অশান্তির সূত্রপাত। ২০১৮ সালেও একই বিষয়ে আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশটি। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে সে দেশে মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল, যার মধ্যে ৪৪ শতাংশ আসন সাধারণের জন্য নির্ধারিত ছিল। ৫৬ শতাংশ আসনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০%, জেলার জন্য ১০%, জনজাতিদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ ছিল। ২০১৮ সালে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, নারীদের ১০ শতাংশ ও জেলার ১০ শতাংশ আসন বাতিল করে দেন। রাখা হয় শুধু জনজাতিদের ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ সংরক্ষণ। এ নিয়ে মামলা গড়ায় বাংলাদেশের হাইকোর্টে। চলতি বছরের ৫ জুন হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, হাসিনা সরকারের নির্দেশ অবৈধ। ফের প্রতিবাদ আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। তবে এদিন হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

Bangladesh

Sheikh Hasina

bangla news

Bengali news

Bangladesh Supreme Court

reform quota system Bangladesh


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর