Anti Hindu Conspiracy: অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের গভীর ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানি আইএসআই যোগ…
বাংলাদেশে ইসলামি ছাত্র শিবির। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কবল থেকে ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ। পাকিস্তানের সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। জাহাজে কী ছিল? জানা যায়নি স্পষ্ট করে। কিন্তু এরমধ্যে হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দিয়ে লুট হয়েছে গণভবন (Bangladesh Unrest)। আওয়ামি লিগকে বিতাড়িত করে, পেছনের দরজা দিয়ে গদিতে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammed Yunus)। দেশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে জামাত-ই-ইসলামি এবং বিএনপি-র মতো কট্টর মৌলবাদী জেহাদিদের হাতে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে (Anti Hindu Conspiracy)। একই ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে সামজিক মাধ্যমে। কীভাবে উপকারীর অপকার করতে হয় তার হয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনূস প্রশাসন। তবে, এটা আচমকা শুরু হয়নি। গত ২ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী (Anti Hindu Conspiracy) ও ভারত-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে কট্টর মৌলবাদী ইসলামি ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং পাকিস্তানের আইএসআই (Pak ISI)। আসুন জেনে নিই কীভাবে এতকাণ্ড ঘটল।
বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গভীর ষড়যন্ত্রের প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালের একেবারে গোড়ায়। ইসলামিক ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) নেতারা তখন ঘনঘন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে লাগাতার বৈঠক হয়। সেখানেই আন্দোলন এবং পরিকল্পনার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। তবে তারা এক দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের বিষয় স্থির করেছিল। যার প্রথম ধাপে ছিল বিপুল পরিমাণ মানুষকে ক্ষিপ্ত করে রাস্তায় নামানো (Bangladesh Unrest)। এরপর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে মহম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। কারণ ইউনূস এমন ব্যক্তি যিনি ইসালামি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই কাজ করবেন। আইএসআই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামকে সর্বাত্মক কার্যকর করতে হবে। কোনও সংখ্যালঘু (Anti Hindu Conspiracy) যেন আর না থাকে। অত্যাচার, নিপীড়ন, লুট, ধর্ষণ, খুনের বিরাট টার্গেট স্থির করা হয়। পাকিস্তানের মতো যেন বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হয়, এটাই পরিকল্পনা স্থির হয়েছিল।
কার্যত এই পরিকল্পনার স্পষ্ট বাস্তবায়ন আমরা দেখেছি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে। একে একে রংপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রামে হিন্দু মন্দির এবং বাড়ি-ঘরে কীভাবে হামলা হয়েছে (Bangladesh Unrest)। তবে আইএসআই ছাত্র শিবিরকে আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনে শোরগোল ফেলতে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। তরুণ মুসলমান যুবকদের ভারত বিরোধী (Anti India Campaign) মগজ ধোলাই করতে সামজিক মাধ্যমে নানা উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকৃত তথ্য এবং বিভ্রান্ত খবরের জোগান দিয়ে যুব সমাজের মনকে আকর্ষণ করা হয়। প্রথমে সামজিক মাধ্যমে আবহকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এরপর মাঠে-ময়দানে, রাস্তায় ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে নামানো হয় জনগণকে।
আইএসআই খুব স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এই আন্দোলন যেন দেখতে সম্পূর্ণ ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়। ছাত্রদের সামনে রাখলে তবেই আন্দোলন বাস্তবায়ন হবে। উদ্দেশ্য সফল হবে। যে ছাত্র সমাজ কোটা-বিরোধী আন্দোলনে (Bangladesh Unrest) যোগদান করেছিল, তাদের একটা বড় অংশ আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল (Anti Hindu Conspiracy)। বিএনপি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক রং দেয়। বিশ্বের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে যে কোনও স্বার্থকে খুব সহজেই আদায় করা যায়। জামাত শিবির, ইসলামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং আইএসআই তাই এই বৃহৎ পরিকল্পনা করেছিল (Islami Chhatra Shibir Pak ISI Nexus)।
আরও পড়ুনঃ ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের
প্রায় দুই বছর ধরে ইসালামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। জামাতের এই ছাত্র সংগঠনের অনেক সদস্য পাকিস্তানের আইএসআই-এর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। তবে তারা নিজেরা রাস্তায় না নামলেও পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নামতে যুক্তি, কারণ এবং তথ্য প্রদানের কাজ করেছে। ফলে, আজকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তার জন্য আইএসআই ভীষণ ভাবে দায়ী।
আইএসআই-এর কাছে হাসিনার সরকারকে টার্গেট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক হয় ভারত বিদ্বেষী (Anti India Campaign) ভাবনার ব্যাপক প্রচার-প্রসার। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মিত্রতার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) বাণিজ্য ২০২১ সালে রেকর্ড স্তর ১৪ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে নতুন ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যদিও বাংলাদেশের থেকে আদানি পাওয়ার সংস্থার ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এখন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে যাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।