img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Bangladesh Violence: উত্তাল বাংলাদেশ, ভারতের আর কোন পড়শির বাড়িতে লেগেছে অশান্তির আগুন?

Protests: জুলাইয়ের গেরো! অশান্তির আগুন জ্বলেছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মায়ানমারেও...

img

অশান্তির আগুনে পুড়েছে ভারতের পড়শিরাও। প্রতীকী ছবি।

  2024-08-05 21:19:18

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল (Protests) বাংলাদেশ। তার জেরে সোমবারই প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন (Bangladesh Violence) শেখ হাসিনা। বোনকে নিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন ভারতে। হাসিনার পদত্যাগের খবর জানান সে দেশের সেনা প্রধান ওয়াকের-উজ-জামান। রাজধানী ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। লাঠিচার্জ করেও তাদের নিরস্ত করতে পারেনি বাংলাদেশ প্রশাসন। তার জেরেই সপ্তাহখানেক ধরে অশান্তির আগুনে পুড়ছে ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মাঝ-জুলাইয়ের এই আন্দোলনে অন্তত ৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ডামাডোলের বাজারে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞও।

'দক্ষযজ্ঞ' শ্রীলঙ্কায়

বাংলাদেশের মতো এমন আন্দোলন বছর দুয়েক আগে দেখেছিল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাও। ঘটনাচক্রে সেটাও ছিল জুলাই মাস। দেশে (Protests) অথনৈতিক সঙ্কট চরমে। ব্ল্যাক আউট করে বিদ্যুৎ সঙ্কটের সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। খাবার এবং জ্বালানির অভাবে দ্বীপরাষ্ট্রবাসীর প্রাণ ওষ্ঠাগত। দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করে দেয় সরকার। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই পথে নেমে পড়েন শ্রীলঙ্কাবাসী। তাঁরা তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে হামলা চালান। জনরোষের আঁচ পেয়ে তার আগেই অবশ্য দেশ ছেড়ে ভিন দেশে পালিয়ে বাঁচেন রাজাপক্ষে।

পাকিস্তানে অশান্তি

ব্যাপক অশান্তি দেখেছে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানও। দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট যখন চরমে, তখনই সরিয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির প্রধান ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে। সেটাও দু’বছর আগে। তবে মাসটা ছিল এপ্রিল। আস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় সরানো হয় ইমরানকে। জোট সরকারের নেতৃত্ব দেন শাহবাজ শরিফ। ওই বছরই (Bangladesh Violence) নভেম্বর মাসে পঞ্জাব প্রদেশে এক প্রতিবাদ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তিনটি গুলি লাগে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর পায়ে। প্রাণে বেঁচে যান ইমরান। তবে কলঙ্কের দাগ লাগে পাক রাজনীতির গায়ে।

আন্দোলনের আঁচ সর্বত্র

তোষাখানা মামলা-সহ একাধিক মামলায় গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। ২০২৩ সালের মে মাসের ওই ঘটনার আগে পরে ব্যাপক আন্দোলন হয় পাকিস্তানে। প্রতিবাদী এই আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে আছড়ে পড়ে আর্মি হেডকোয়ার্টার এবং আইএসআইয়ের হেডকোয়ার্টারে। তবে বন্দিদশা ঘোচেনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের। একের পর এক মামলা চলায় জেলের ঘানি টানছেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেট তারকা-রাজনীতিক। চলতি বছরের মার্চে পাকিস্তানের মসনদে বসেন শরিফ। দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হন তিনি। শাসক বদলেছে। তবে দুঃখ ঘোচেনি পাকিস্তানের। দেনার দায়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড় দেশটার। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের দশা কাটাতে ২৩ মার্কিন বিলিয়ন ডলার ঋণ করার পরিকল্পনা করেছে পাক সরকার। অর্থ সাহায্যের জন্য দোরে দোরে হাত পেতেছে শরিফের দেশ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার থেকেও সাহায্য মেলেনি। সব মিলিয়ে বেসামাল দশা পাক অর্থনীতির।

অশান্তির আগুন মায়ানমারেও

অশান্তির আগুনে পুড়েছে ছবির মতো সাজানো দেশ মায়ানমারও। সে দেশের জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের এই লড়াইয়ে কখনও পিছু হটেছে সেনা, কখনও আবার পিছু হটেছেন আন্দোলনকারীরা। ২৫ জুলাই মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (সামরিক শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোট) ঘোষণা করে, জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে (Bangladesh Violence) জয় পেয়েছে তারা। টানা ২৩ দিনের লড়াই শেষে লাসিওর দখল নিয়েছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। পুরোপুরি স্বাধীন হয়েছে লাসিও।

আরও পড়ুন: অর্থ সংগ্রহ করতে আরএসএসের ভরসা গুরুদক্ষিণা!

মাইলফলক জয়

যদি প্রতিবাদীদের দাবি সত্য হয়, তাহলে তা হবে টানা তিন বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটা মাইলফলক জয়। জুন্টা সরকার যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছিল, তার প্রতিবাদে পথে নেমেছেন মায়ানমারবাসী। সেখানেই ঘোষিত হয়েছে জনতা জনার্দনের জয়। তবে সেজন্য কম খেসারত দিতে হয়নি মায়ানমারবাসীকে। প্রচুর প্রাণের বিনিময়ের পাশাপাশি ভিটে ছাড়া হয়েছেন ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাসিও জয়ের ভিডিও পোস্ট করেছে মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি। তাতে দেখা যাচ্ছে, সর্বত্রই অ্যালায়েন্স আর্মির ভিড়। রেলস্টেশন, কারাগার, ব্রডকাস্ট স্টেশন কোথায় নেই তারা! মায়ানমারের সামরিক সরকার সোমবার স্বীকার করেছে যে তারা উত্তর-পূর্বে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেনা দফতরের কমান্ডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে (Bangladesh Violence) পারছেন না।

জনগণ খেপে গেলে কীই (Protests) না হয়!

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

pakistan

Sri Lanka

bangla news

Bengali news

protests

Myanmar

news in bengali

bangladesh violence


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর