img

Follow us on

Tuesday, Jan 21, 2025

Bangladesh: বাংলাদেশে সংকটে পোশাক শিল্প, কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার শ্রমিক, বেশিরভাগই মহিলা

Garment Workers: কেন সংকটে পড়ল বাংলাদেশের পোশাক শিল্প?

img

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি

  2025-01-21 13:27:24

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর সংকটে বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থনীতি। বাংলাদেশে রফতানি অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি হল এই পোশাক শিল্প (Garment Workers)। এই পোশাক শিল্পই এবার একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান। ইউনূস সরকারের জমানায় ব্যাপক মন্দাও দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালেই ৭৬টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোশাক কারখানাগুলিতে কর্মরত ছিলেন পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। এর পাশাপাশি উল্লেখযোগ্যভাবে উঠে এসেছে যে এই শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন। অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে পোশাক শিল্পে। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে জানাচ্ছেন যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক পোশাক কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হতে পারে। 

পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন সভাপতির বিবৃতি (Bangladesh)

বাংলাদেশের (Bangladesh) পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানি কারকদের একটি সংগঠন রয়েছে। তার নাম হল পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। এই সমিতিরই প্রাক্তন সভাপতি এস এম ফজলুল হক বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমে সামনে এসেছে তাঁর বিবৃতি। বিভিন্ন জায়গায় তিনি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন। নিজের বক্তব্যে এস এম ফজলুল হক বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমানে পোশাক শিল্প ব্যাপক সংকটে রয়েছে। হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কারখানা চলছে। বেশিরভাগ কারখানাকে শুধুমাত্র কিছুটা লাভ করার জন্য ব্যাপক লড়াই করতে হচ্ছে। এই মেশিনগুলি যত বেশি সময় ধরে চলবে, ততই আর্থিক বোঝা বেশি হবে।’’

বিশ্ববাজারে দাম কমেছে বাংলাদেশি (Bangladesh) পোশাকের

কিন্তু এর কারণ কী? কেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সংকটে পড়ল? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাকের দামে মন্দা দেখা দিয়েছে। তাই কারখানার মালিকদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে দেশগুলি আছে, সেগুলি বাংলাদেশি পোশাকের দাম পাঁচ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে চাপ পড়ছে বাংলাদেশের কারখানার মালিকদের ওপরে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে সেখানে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কমানো হয়েছে ৮ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে বাংলাদেশি পোশাকের দাম কম দেখা যাচ্ছে তিন শতাংশ। এই কারণে কারখানার মালিক এবং উৎপাদনকারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

প্রভাব পড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতার

একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নানা কারণও সামনে এসেছে। যেমন ব্যাঙ্ক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি। মার্কিন ডলারের তুলনায় বাংলাদেশি (Bangladesh) টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন। কাঁচামালের আমদানির খরচ বৃদ্ধি। একইসঙ্গে শুল্কবৃদ্ধি। বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকঠাক না হওয়া। এই একাধিক কারণ রয়েছে বাংলাদেশে পোশাকের বাজারে মন্দা দেখা দেওয়ার। অন্যদিকে, গত অগাস্ট মাসে জামাত-বিএনপির নেতৃত্বে যেভাবে গণভবন দখল করা হয় এবং পুরো বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলা হয়, এই সময়ে সেদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়। সেই সময়ও একটি আঘাত নেমে আসে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পে।

ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্ন তোপ পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতার

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের পোশাক খাতে রফতানি ছিল ৩৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার। জামাত-বিএনপির মদতে চলা ইউনূস সরকারকে প্রচ্ছন্নভাবে তোপ দেগেছেন পোশাক শিল্প সমিতির প্রাক্তন নেতা এস এম হক। তিনি বলেন, ‘‘দেশের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্থিতিশীল সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ স্বাভাবিকভাবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে ২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাস থেকে যে ধরনের জঙ্গলের রাজত্ব, আতঙ্কের রাজত্ব বাংলাদেশ শুরু হয়েছে, তা শিল্পক্ষেত্রকেও ব্যাপক আঘাত দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমেই ডুবছে ইউনূস জমানায়।

কিছু উদাহরণ

কেয়া গ্রুপের পোশাক কারখানার কর্মীরা গত ২ জানুয়ারি সকালে জানতে পারেন তাঁদের চাকরি আর থাকছে না। কারণ গ্রুপটি তাদের কারখানাগুলিকে স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবেই কাজ হারিয়েছেন ৫০ হাজার জনেরও বেশি। জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় তাঁদের। অনেক জায়গায় ২৯ ডিসেম্বর থেকেই কর্মীরা কাজ বন্ধ করে দেন। কারণ নভেম্বর মাসের বেতনই হাতে পাননি বেশিরভাগ শ্রমিক। বন্ধ হওয়া কারাখানার মালিকরা জানিয়েছেন, বর্তমান অস্থিতিশীল বাজারের কারণেই কারখানাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোর একটি হল বেক্সিমকো গ্রুপ। যার কর্ণধার হলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্য়ন্ত ঘনিষ্ঠ সালমান এফ রহমান। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই সংস্থা তাদের ১৫টি কারখানা বন্ধ করার ঘোষণা করে। এতে অন্তত ৪০ হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।



দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

Bangladesh

bangla news

madhyom news

news in bengali

garment workers Bangladesh


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর