পাকিস্তানে আইন এবং সংবিধানের দেখানো পথ অনুসৃত হয় না...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি। প্রকাশ্য সভায় এ কথা ঘোষণা করলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) খাজা আসিফ। শনিবার দেশের দেউলিয়াপনার কথা স্বীকার করে নিলেন শাহবাজ শরিফ ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। এজন্য তিনি দায়ী করলেন প্রতিষ্ঠান, আমলা এবং রাজনৈতিক নেতাদের। এদিন শিয়ালকোটের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে পাকিস্তান দেউলিয়া হতে যাচ্ছে। এটা (দেউলিয়া) হয়েই গিয়েছে। এর পরেই খাজা আসিফ বলেন, আমরা একটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশে বাস করছি।
এ থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের দেশের মধ্যেই এর সমাধান নিহিত রয়েছে। পাকিস্তানের সমস্যা মেটানোর চাবিকাঠি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে নেই। পাক (Pakistan) প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে ক্রমাগত মিথ্যাচারের ফলেই আজ এই পরিস্থিতি। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রতিষ্ঠান এবং আমলারা, তেমনি রয়েছেন রাজনীতিবিদরাও। তিনি বলেন, পাকিস্তানে আইন এবং সংবিধানের দেখানো পথ অনুসৃত হয় না।
আরও পড়ুুন: ‘যারা ভিন্ন মতাদর্শের লোকজনের পা চাটে...’, নাম না করে উদ্ধবকে নিশানা শাহের
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের সঙ্গে হওয়া ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তির মধ্যে কমপক্ষে ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগাড়ের মরিয়া চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। এজন্য কার্যত হন্যে হচ্ছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। চুক্তি নির্ধারিত দিন পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের শর্তাবলী পূরণ না হওয়ায় পাকিস্তানকে টাকা দেয়নি তারা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার পাকিস্তানকে কতগুলি শর্তও দিয়েছে। এই সব শর্ত পূরণ করতে না পারলে, টাকাও পাবে না ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে বিদেশি মুদ্রার যা সঞ্চয় ছিল, তাতে কোনওক্রমে ১০-১৫ দিন চলত। সেই সঞ্চয়ের ভাণ্ডারও তলানিতে এসে ঠেকেছে। তার জেরে নিত্য মূল্যবৃদ্ধির চড়া আঁচে ছ্যাঁকা লাগছে আম-আদমির। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে এক লিটার দুধ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ রুপিতে। এক কিলো মুরগির মাংস বিকোচ্ছে ৭৫০ রুপি দরে। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত ৭৫ বছরে এ নিয়ে সরকার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের কাছে হাত পেতেছে ২৩ বার। তিনি জানান, গত এক বছরে পাকিস্তানের (Pakistan) ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৩ শতাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।