Meherpur ISKCON temple: বাংলাদেশে বর্বরোচিত মুসলিম আক্রমণ থেকে প্রাণ রক্ষায় কুয়োতে ঝাঁপ হিন্দুদের!…
মেহেরপুর ইসকন মন্দিরের ভাঙচুর এবং কুয়ো। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) মেহেরপুর ইসকন মন্দিরে (Meherpur ISKCON temple) কট্টর মৌলবাদী মুসলিমদের দ্বারা সংগঠিত দাঙ্গা থেকে বাঁচতে হিন্দুরা একটি কুয়োয় ঝাঁপ দেন। এই পৈশাচিক হামলার বিবরণ সংবাদমাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে এসেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রমাণ করে দেয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সেই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কতটা নির্মম অত্যাচার নেমে এসেছে। সেনাবাহিনী এবং অন্তর্বর্তী সরকার মৌখিক নিরাপত্তার কথা বললেও, হিন্দু ধর্মের মানুষের জনজীবন এখনও বিপন্ন। আইনের শাসন নেই ওপার বাংলায়। প্রতিবাদে একাধিক শহরে লক্ষ লক্ষ হিন্দুদের বিক্ষোভে নেমেছেন।
জানা গিয়েছে, ভিডিওটি ৫ অগাস্টের। সেদিন বাংলাদেশ অগ্নিগর্ভ ছিল, গণভবনে চলছিল লুট, প্রায় সব থানা হয়ে গিয়েছিল পুলিশ শূন্য! এমন অবস্থায় কট্টর ইসলামি মৌলবাদীরা মেহেরপুর (Bangladesh Crisis) ইসকন মন্দিরে (Meherpur ISKCON temple) নৃশংস হামলা চালায়। হামলার কয়েকদিন পর একটি ভিডিও সামনে এসেছে। ইতিমধ্যে একাধিক সংবাদ মাধ্যম সেই ভিডিওকে সম্প্রচার করছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, মন্দিরের মূর্তিগুলিকে ভাঙচুর করা হয়েছে। এমন অবস্থায় মন্দিরে আটকে থাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা জীবন বাঁচাতে কুয়োর জলে ঝাঁপ দিয়ছিলেন। জানা গিয়েছে, মোট ১৬-১৭ জন মানুষ কুয়োতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। পরে মন্দিরের আশেপাশের লোকজন দড়ি ফলে কুয়ো থেকে ঝাঁপ দেওয়া সমস্ত হিন্দুকে বের করে নিয়ে আসেন। মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাসও আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মেহেরপুরের (Meherpur ISKCON temple) ইসকন মন্দিরের পাশাপাশি ওইদিন ১টি কালী মন্দির ও ২টি দুর্গা মন্দির লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়। ১০টির বেশি হিন্দু বাড়ি এবং ৮/৯টি হিন্দু মালিকানাধীন দোকান লুট করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ২ জন হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়। মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস পরিস্থিতির ভয়াবহ বিবরণ দিয়ে বলেন, “উগ্র মুসলিম মৌলবাদীরা আমাদের ইসকন মন্দিরকে টার্গেট করেছে এবং ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরেও বোমা ছোড়া হয়। সারা রাত আমাদের জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল, যখন আমরা কারও বাড়িতে আশ্রয় চাইছিলাম তারা বলেছিল, আমরা যদি আপনাকে আশ্রয় দিই তাহলে মুসলমানরা আমাদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, হিন্দুরা সর্বদা অত্যাচারের (Bangladesh Crisis) শিকার হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন ৭০ হাজার বিএসএফ জওয়ান
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুরা ইসলামি মৌলবাদীদের হাতে ক্রমাগত হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। মুসলিম মৌলবাদীরা ক্রমাগত হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ব্যাপক নির্যাতন করছে। গত কয়েক দিনে হিন্দুরা, বাংলাদেশে চট্টগ্রামের (Bangladesh Crisis) চিরাগী পাহাড় মোড়, বগুড়ার সাত মাথার মোড়, ঢাকার শাহবাগ, খুলনার শিববাড়ি এবং গোপালগঞ্জ সহ একাধিক জায়গায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ করে গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হিন্দুদের মূল শ্লোগান ছিল, ‘আমার মাটি আমার দেশ, বাংলা ছেড়ে যাব ক্যান।’ একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, আসানসোল, কল্যাণী, শিলিগুড়ি, কোচবিহার সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিন্দু সংগঠন আরএসএস-এর পক্ষ থেকেও ভারত সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।