খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ঘটে এই বিস্ফোরণ
বিস্ফোরণস্থল (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক সভায় জোরাল বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩৯ জনের। গুরুতর জখম শতাধিক মানুষ। রবিবার বিকালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পাকিস্তানের (Pakistan) খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের সামনে এদিন শোকপ্রকাশ করেন খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের গভর্নর হাজি গুলাম আলি। বিস্ফোরণের দায় এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন স্বীকার করেনি। তবুও সেদেশের ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে এই কাজ জঙ্গিদেরই। ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী (Pakistan) বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।
রাজনৈতিক সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের এক প্রশাসনিক আধিকারিক বলেন, “এক বর্ষীয়ান নেতার বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তিনি পৌঁছনোর আগেই বিস্ফোরণটি ঘটে।” বিস্ফোরণ নিয়ে প্রদেশের (Pakistan) স্বাস্থ্যমন্ত্রী রিয়াজ আনোয়ার বলেন, “হাসপাতালে ৩৯ জনের দেহ রয়েছে। এছাড়া ১২৩ জন আহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।” খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী ফিরোজশাহ জামাল বলেন, ‘‘বোমা হামলায় জখমদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদের আমরা পেশোয়ারের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করছি। তার জন্য হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুুন: তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে মুচলেকা লিখিয়েছে, বাড়ি ফিরে বললেন অপহৃতরা
সেদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি বছরে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। রবিবার বিকালে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের খার শহরে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে জামিয়াত উলেমা ইসলাম-ফাজলের সভা ছিল। সভাকে কেন্দ্র করে বহু দলীয় কর্মী সমর্থক সেখানে জমায়েত করেছিলেন। সভা চলাকালীন হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে চারিদিক। সেখানেই নিহতদের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুরুতর জখম হন শতাধিক মানুষ। যদিও কীভাবে বিস্ফোরণটি ঘটল? অথবা এর নেপথ্যে কারা রয়েছে? তা স্পষ্ট নয়। সেসমস্ত উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে সেদেশের প্রশাসন (Pakistan)। দলের প্রধান মৌলানা ফাজলুর রেহমান বলেন, ‘‘বিস্ফোরণে জঙ্গিদের হাত রয়েছে এটা নিশ্চিত।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।