বরিসের ছেড়ে দেওয়া চেয়ারে বসবেন কে? টেমসের তীরে ভাসছে একাধিক নাম। শোনা যাচ্ছে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের নামও।
Untitled_design
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে একে পদত্যাগ করেছেন ৪০ মন্ত্রী। তাঁর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না তাঁরই অনুগতরা। প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে রাজি হলেন বরিস জনসন (Boris Johnson)। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের চাপে ইস্তফা দেওয়ার পথেই হাঁটতে বাধ্য হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেষ ভাষণ দিলেন জনসন। জানালেন, প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার ব্রিটিশ কূটনীতিক!
ব্রিটেনের (Britain) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে কনজারভেটিভ দলের পরবর্তী পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত জনসন প্রধানমন্ত্রী দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আপাতত কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব সামলাবেন বরিসই। যদিও টোরিদের তাতে সম্মতি নেই। লন্ডনের হাওয়ায় ভাসছে একাধিক নাম। তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম ব্রিটেনের সদ্য পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের। বরিসের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসার দৌড়ে আছেন প্রাক্তন লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ার টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাধিম জাহাউয়ি। সূত্রের খবর, বরিসের অনুপস্থিতিতে অনুমান, জাস্টিস সেক্রেটারি তথা ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ডমিনিক রাবই সাময়িক মসনদে বসতে পারেন। তিনিই 'ডিফল্ট চয়েস' বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান
সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের অন্দরেই বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। গত কয়েক দিন ধরেই বরিস মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে সরে গিয়েছেন একাধিক মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ইস্তফা দেন। তার পর প্রধানমন্ত্রী ২০১৯-এর ভোটের ফল দেখিয়ে বলেছিলেন, মানুষ তাঁকেই নেতা নির্বাচিত করেছে। তাই সরে যাওয়ার প্রশ্নই নেই। ঘটনাচক্রে তার পরেই একে একে ইস্তফা দেন আরও পাঁচ মন্ত্রী। তার মধ্যে এক জন বরিস-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এক দিনের মধ্যে মন্ত্রিসভার সাত জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী-সহ ৪০ জন মন্ত্রী ইস্তফা দেওয়ার পর সুর বদলে যায় বরিসের। উল্লেখ্য, ঋষির পদত্যাগের পর ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হন নাধিম জাহাউয়ি। তিনিও বরিসকে সরে যেতে আবেদন করেন।