আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদের ওপর নজরদারি চালায় এই সংস্থা...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) কি পারবে ফিনান্সিয়াল অ্যাকসন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF)-এর ধূসর তালিকা (Grey List) থেকে বের হতে? এতদিন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছিল। ২৯ অগাস্ট পাকিস্তান পৌঁছেছে এফএটিএফ-এর এক প্রতিনিধি দল। তামাম বিশ্বে আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদের ওপর নজরদারি চালায় এই সংস্থা। পাকিস্তানে এসে যাচাই করে দেখেছে ইসালামাবাদের (Islamabad) পদক্ষেপ। শর্ত পূরণ করলেই ওই সংস্থার ধূসর তালিকা থেকে বের হতে পারবে শাহবাজ শরিফের দেশ। জানা গিয়েছে, এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ১৫ জন সদস্য। তাঁরাই স্থির করবেন পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ!
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের গা থেকে খসেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল এফএটিএফ। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছে ধূসর তালিকায়।
এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান। পনের জনের যে প্রতিনিধি দলটি পাকিস্তান এসেছিল, তারা সে দেশে ছিল ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারতের গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এটা পাকিস্তানের আইওয়াশের একটি প্রচেষ্টা। কারণ পাকিস্তান এখনও ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন :'মৃত' জঙ্গিকে 'গ্রেফতার', ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?
প্রসঙ্গত, এফএটিএফ জুনের ১৭ তারিখে জানিয়েছিল, পাকিস্তানকে এখনও ধূসর তালিকায়ই থাকতে হবে। অন সাইট ভেরিফিকেশনের পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, ‘শাপমুক্তি’ ঘটবে কবে। বার্লিনে এফএটিএফের প্লেনারির সময়ই এই ঘোষণা করা হয়েছিল। শেষমেশ শাহবাজ শরিফের দেশে এল এফএটিএফের প্রতিনিধি দল। আদৌ পাকিস্তান ধূসর তালিকা থেকে বাদ পড়ে কিনা, এখন সেটাই দেখার!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।