শেষ কয়েক দশকে এই প্রথম বারের মতো চিনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ।
চিন বিক্ষোভ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভের আগুনে পুড়ছে চিন (China Covid)। শি জিনপিং- এর 'জিরো কোভিড পলিসি', তাঁর বিরুদ্ধে দেশের জনতাকে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। বন্দিদশায় আর থাকতে চান না চিনা নাগরিকরা। রাজপথে 'হয় স্বাধীনতা দাও, না হলে মৃত্যু" শ্লোগান তুলেছেন দেশের তরুণরা। জিংজিয়াং, বেজিং সর্বত্রই একই ছবি। বিক্ষোভ সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে চিন প্রশাসন। এই বিক্ষোভের প্রথম সারির মুখ তরুণ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভের আগুনে জল ঢালতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শেষ কয়েক দশকে এই প্রথম বারের মতো চিনের (China Covid) কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাস্তায় নেমেছে কাতারে কাতারে মানুষ। চিনের হাজার হাজার মানুষ চিনা কর্তৃপক্ষকে অস্বীকার করে প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে ‘গদি ছাড়া’র দাবি তুলেছে। তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। চিনের জনতাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে প্রশাসন। শি জিনপিং- এর পদত্যাগ দাবিতে সরব হয়েছে চিনের নাগরিক।
তাঁদের দাবি একটাই, স্বাধীনতা। নিয়মিত কোভিড পরীক্ষা, কড়া লকডাউন বিধির ভার, কঠোর সেন্সরশিপ এবং সব কিছুর উপর কমিউনিস্ট পার্টির হস্তক্ষেপ—এই সব থেকেই মুক্তির দাবি তুলেছেন সে দেশের মানুষ। এদের মধ্যে তরুণ-যুব পড়ুয়াদের সংখ্যাই বেশি। স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চাওয়ার দাবিতে যেন অনেকটা সাহস বুকে ভর করে রাস্তায় নেমেছেন সে দেশের তরুণ প্রজন্ম। তাই তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে চায় জিনপিং (China Covid) প্রশাসন।
আরও পড়ুন: রাবণের সঙ্গে তুলনা মোদিকে! বিতর্কিত মন্তব্য মল্লিকার্জুন খাড়গের, প্রতিবাদ বিজেপির
সাধারণ মানুষের (China Covid) অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও সরকার এখনও করোনা-শূন্য নীতি থেকে সরে আসেনি। অর্থাৎ, দেশে করোনা সংক্রমণ শূন্য না হওয়ার পর্যন্ত কড়াকড়ি বন্ধ থাকবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের রোজগারে, ব্যবসা-বাণিজ্যে।
সম্প্রতি জিনঝিয়াং প্রদেশে একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। ওই প্রদেশের রাজধানী উরুমকিউই-এর একটি বহুতলে গত বৃহস্পতিবার আগুন লাগে। তাতে প্রাণ হারান দশ জন চিনা নাগরিক (China Covid)। ওই আবাসনের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তালাবন্দি থাকার জন্যই অনেকে আবাসন ছেড়ে বেরোতে পারেননি। আগুন লেগে যাওয়ার পরেও অনেকে ঘরের মধ্যেই আটকে পড়েন বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। চিনা প্রশাসন যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শি জিনপিং- এর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ইতিমধ্যেই সে দেশের সমস্ত বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: