পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ৫৬,৮০,০০০ কোটি টাকা...
পাকিস্তানে দুর্দিনের খণ্ডচিত্র। খাবার সঞ্চয় করছেন দেশবাসী। এই সময় পাশ থেকে সরে গেল চিন। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, দুর্দিনে বন্ধু চেনা যায়! ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দশা ইসলামাবাদের। এমতাবস্থায় কোথায় পাশে দাঁড়াবে চিন, তা নয় ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে বেজিং (China Pakistan Relation)। বিলিয়ন ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ।
এহেন পরিস্থিতিতে আক্ষরিক অর্থেই অথৈ জলে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি একাদশতম জয়েন্ট কো-অপারেশন কমিটির বৈঠক হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে চিন পাকিস্তান দুই দেশেরই মতপার্থক্য সামনে চলে আসে। তার পরেই বেজিং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে।পাকিস্তানের (China Pakistan Relation) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণ ৩৪.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুুন: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের
যার জেরে বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ৫৬,৮০,০০০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ৩৬.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশটির মোট ঋণের ৬২.৩ শতাংশের সমান। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তার মোট ঋণের ৩৭.৬ শতাংশ।
পাকিস্তানে ৩ হাজার কিলোমিটারের চিন-পাক ইকনমিক করিডরে প্রচুর পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন চিনের আর্থিক লাভ হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্যিক উন্নয়ন হচ্ছে পাকিস্তানেও। চিনকে খুশি করতে পাকিস্তানের গোয়াদারে আমদানিকৃত কয়লাচালিত যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ছিল ইসলামাবাদের, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। গিলগিট বাল্টিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটন বিষয়ক পরিকল্পনাও বাতিল করেছে ইসলামাবাদ। চিনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এগোতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে চিন ধাতব খনিজগুলির যৌথ অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং বিপণনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। যার জেরে সখাত সলিলে ডুবে মরার দশা হয়েছে পাকিস্তানের (China Pakistan Relation)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।