সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার।
চিন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে চিন সরকারের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ব্যাপক সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) 'জিরো কোভিড নীতি'-র (Zero Covid Policy) ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। ফের বিপর্যস্ত চিনা (China) জনজীবন।
চিনের কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ফের করোনা বিধি নিষেধের আওতায় চিন।
আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?
সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার। আশেপাশের অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে যানবাহনের চলাচল। পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধন্ত।
হুয়াকিয়াংবেই-এ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং মাইক্রোচিপ বিক্রির হাজার হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুতিয়ান জেলায় তিনটি এলাকায় চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি
বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ব্যতীত তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি।
অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অর্থাৎ সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতাল ব্যতীত ওইসব এলাকায় সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকওয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলিতেও সমস্ত বিনোদনের জায়গা এবং পাবলিক পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে, শেনজেনের এক আধিকারিক বলেন, মূলত করোনার নতুন সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.15 দ্বারাই নতুন করে ছড়াচ্ছে এই রোগ। এটি আরও বেশি সংক্রামক। তিনি আরও বলেন, "আসন্ন সময়ে এই মহামারী প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হবে।"
ফের চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছে পঞ্চম ঢেউ এসে গিয়েছে।
রবিবার সারা দেশে ১৯ টি প্রদেশ এবং পৌরসভায় মোট ৩০১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়াও, সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশব্যাপী ১২৫৫ টি উপসর্গবিহীন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার সারা দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩০১ টি স্থানীয় মামলার মধ্যে, ১৬১ টি সিচুয়ান প্রদেশের। যা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ।
হংকং- এ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের সরকার। সেখানেও করোনা সংক্রণের হার ১০,০০০ ছাড়িয়েছে।
চিন সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা কঠোরভাবে 'জিরো কোভিড নীতি' অনুসরণ করছে।
ভাইরাস মোকাবিলায় ফের আক্রমনাত্মক ভূমিকায় চিন। এর মধ্যে রয়েছে 'ফ্ল্যাশ লকডাউন', যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, গণ হারে পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।