চিনের এই জাহাজটি ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাতেও সক্ষম...
চিনা এই জাহাজই ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) উদ্বেগ বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাম্বানটোটা (Hambantota) বন্দরে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে চিনা গুপ্তচর জাহাজ (Chinese Spy Ship ) ইয়ান ওয়াং-৫ (Yuang Wang 5)। চিনের এই গুপ্তচর জাহাজ যাতে হাম্বানটোটা বন্দরে নোঙর না করে, সেজন্য ওই জাহাজ না পাঠাতে ড্রাগনের দেশকে অনুরোধ করেছিল শ্রীলঙ্কাও। তার পরেও চিনা (China) ওই জাহাজ এসে ভিড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের ঘাটে। জেনে নেওয়া যাক, চিনা ওই জাহাজ কী কারণে ভারতের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ যে কোনও উপগ্রহের ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের হদিশও দিতে পারে এই জাহাজ। জাহাজটিতে সেন্সর রয়েছে, যা দিয়ে পরীক্ষিত ব্যালিস্টিক মিসাইল চিহ্নিত করতে পারে। ওড়িশা উপকূলের অদূরে রয়েছে আবদুল কালাম দ্বীপ। সেখানেই ভারত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। চিনা এই গুপ্তচর জাহাজ অনায়াসে মেপে নিতে পারে পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কতদূর লম্বা। জাহাজটি চিনা বন্দরে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত থাকার কথা। সেটি চিনের বন্দর ছাড়ে ১৪ জুলাই। তার পর আর কোনও বন্দরে নোঙর না করে ভেড়ে হাম্বানটোটা বন্দরে। যদিও চিনের দাবি, রসদ সংগ্রহ করতেই নোঙর করা হয়েছে ওই বন্দরে। চিনের এই জাহাজটি ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালাতেও সক্ষম। ২০২১ সালেও চিনা সরকারের সার্ভে জাহাজ জিয়াং ইয়াং হোং-৩ ও ভারত মহাসাগরে নজরদারি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন : ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা অভিমুখে চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ
ভারত-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে ২০১৪ সালে। সেবার চিনা নিউক্লিয়ার শক্তি সম্পন্ন সাবমেরিনকে নোঙর করতে দেওয়া হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রেরই একটি বন্দরে। সেই সময় শ্রীলঙ্কা জানিয়েছিল, জাহাজটি তার স্বয়ংক্রিয় আইডেন্টিটিটি সিস্টেম সুইচ অন করে রাখবে। এটি কোনও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে না। শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষও জানিয়েছিল হাম্বানটোটার দায়িত্বে চিনা কোম্পানি থাকলেও, কাজকর্ম পরিচালনা করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। তার পর অবশ্য সবার আগে দ্বীপরাষ্ট্রের পাশে দাঁড়ায় নয়াদিল্লিই। প্রসঙ্গত, যে হাম্বানটোটা বন্দরকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেটি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চিন। শ্রীলঙ্কা চিনা ঋণ শোধ করতে না পারায়ই লিজ দিতে হয়েছে বন্দর। তার পর থেকেই উদ্বেগে রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন : চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের