"এল নিনো" আসল ভিলেন জানাল কর্পেনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস
hot
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু ভারত নয় এপ্রিলের উষ্ণতা টের পেয়েছে সারা বিশ্ব। এপ্রিল মাস রেকর্ড উষ্ণতম ছিল বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট এজেন্সির। তাঁদের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে চলতি বছর এপ্রিল প্রাক শিল্পায়ন এবং শিল্পায়ন পরবর্তী যুগে রেকর্ড উষ্ণতম ছিল। এবং সারা পৃথিবীতে টানা ১১ মাস এল নিনোর প্রভাবে উষ্ণতম থেকেছে। এই তীব্র গরমের জন্য মানব সভ্যতাকেই দায়ী করেছে ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট এজেন্সি কর্পেনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (corpenicus Climate Change Service)
এপ্রিলে সারা পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ছিল ১৫.৩° সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত এই তাপমাত্রা ১৮৫০ থেকে ১৯০০ (Pre Industrial Era) সালের গড় তাপমাত্রা থেকে তাপমাত্রার ১.৫৮° সেলসিয়াস বেশি। শিল্প বিপ্লবের পর পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ০.৬৭° সেলসিয়াস (Climate Change) বেড়ে গিয়েছিল। এল নিনোর প্রভাবের জেরে খুব দ্রুত সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বাড়ছে। তাপমাত্রা বাড়ছে স্থলভাগেও। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে তাপমাত্রা চিন্তাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েক দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে সামুদ্রিক প্রাণী জগতেও এর প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিশ্বের বহু প্রান্তে কোরাল রিফ ধ্বংস হচ্ছে। বহু প্রজাতির প্রাণীর উপর এর খারাপ প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে বিপন্ন প্রজাতিগুলি বিলুপ্ত হওয়ার দিকে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন এল নিনো (El Nino) প্রভাব অনেক সময়ই আসে এবং চলে যায়। কিন্তু এর জেরে যে তাপমাত্রা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে আটকে যায় তা গ্রিন হাউস ইফেক্টের (Green House Effect) জন্ম দেয়। এর জেরে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
প্রসঙ্গত পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাতে হিম যুগের (Ice Age) দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা হিমযুগকে আসা পিছিয়ে দিচ্ছে। পৃথিবীর স্বাভাবিক চক্র প্রতিরোধের মুখে পড়লে তা ভয়ংকর প্রভাবের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শেষ এক বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের গড় তাপমাত্রার (Climate Change) চেয়ে ০.৭৩° সেলসিয়াস বেশি। এই গড় তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের যুগের আগে তুলনায় ১.৬১° বেশি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন পৃথিবীর উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির তাদের গড় তাপমাত্রা (Climate Change) কমানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন আছে। এখনই এই চেষ্টা শুরু না করা গেলে ভয়ংকর বিপদের মুখে পড়বে মানব সভ্যতা। কার্বন নির্গমন ও বিভিন্ন ধরনের দূষণ কমিয়ে ফেলতে হবে খুব দ্রুত। গ্রিনহাউস গ্যাস যাতে কম বের হয় তার জন্য পৃথিবীর সমগ্র দেশকে যুদ্ধস্তরীয় তৎপরতায় কাজ করতে হবে। না হলে কম বৃষ্টিপাত, খরা, জঙ্গলে আগুন লাগার মত ঘটনা পরপর ঘটবে। চলতি বছর উচ্চ তাপমাত্রার (Climate Change)জেরে বহু দেশের জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রেকর্ড গরম ও কম বর্ষা হয়েছে। কোথাও হয়েছে অতিবৃষ্টি যার প্রভাব পড়বে কৃষি কাজে। চাষ ভাল না হলে খাদ্যের অভাব হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে মানব সভ্যতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Greenhouse Gas Emissions
latest news
Todays Important News
Climate change impacts
Global warming effects
Carbon footprint reduction
Sustainable living tips
Renewable energy solutions
Climate action initiatives
Climate change adaptation strategies
Environmental conservation efforts
Carbon offset programs
Eco-friendly lifestyle choices
Climate resilience measures
Climate change mitigation techniques
Sustainable development goals
Clean energy technologies
Climate change education
Climate policy updates
Green infrastructure projects
Low-carbon economy solutions
Climate change awareness campaigns