বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের 'মাস্টারমাইন্ড' আলেকজান্ডার। এনাকে পুতিনের মস্তিষ্ক তকমাও দেওয়া হয়েছে।
আলেকজান্ডার দুগিন - দারিয়া দুগিন
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়াতে রহস্যজনক মৃত্যু পুতিন (Vladimid Putin) ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডার দুগিনের (Alexander Dugin) মেয়ে দারিয়া দুগিনের (Darya Dugin)। সূত্রের খবর, গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর। শনিবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, দারিয়া নন, এই হামলার আসল লক্ষ্য ছিলেন তাঁর বাবা আলেকজান্ডার দুগিন। তবে কে তিনি? রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে কী তাঁর সম্পর্ক? এই নিয়েই কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
Džip kćerke filozofa Aleksandra Dugina eksplodirao je u blizini sela Bolshye Vyazemy u moskovskoj oblasti. Vozač je preminuo na licu mesta.
— Brutalan odgovor (@maddox1964) August 20, 2022
Svedoci kažu da je Land Cruiser Prado eksplodirao tokom vožnje. Unutra je bila Daria Dugina. pic.twitter.com/eyYz3Vbk95
">
জানা গিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ আলেকজান্ডারকে ‘Putin’s Brain’ বলে ডাকা হয়। অর্থাৎ তাঁকে পুতিনের মস্তিষ্ক তকমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পেছনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ এনাকেই বলা হয়। রাশিয়ার সাফল্যের ক্ষেত্রে আলেকজান্ডারের অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে, আর তার প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেনের এমন সাজানো-গোছানো পরিকল্পনা, এমনটাই দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমগুলি।
সূত্রের খবর, ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন দারিয়া। মস্কো শহর থেকে কিছুটা দূরে হঠাৎ ওই গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দারিয়ার গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাড়ির কাচ। আর পাশে দেখা গিয়েছে ডুগিনকে। মেয়ের জ্বলন্ত গাড়ির দিকে আতঙ্কগ্রস্ত চোখে তাকিয়ে ছিলেন তিনি। ৬০ বছর বয়সী আলেকজান্ডার দুগিনের মেয়ে একজন জনপ্রিয় লেখিকা।
প্রসঙ্গত, এর আগে বহুবার পুতিনের এই ঘনিষ্ঠের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ৭ বছর আগে ২০১৫-য় তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। ওই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল হোয়াইট হাউস। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় রাশিয়া। তখনও এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আলেকজান্ডার। তাই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাঁর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।