দীনেশ গুণবর্ধনের বাবা-মা ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলন
দীনেশ গুণবর্ধনে
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী (Sri Lanka Prime Minister) দীনেশ গুণবর্ধনে (Dinesh Gunawardena)। শুক্রবার শপথগ্রহণ করলেন তিনি। ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe) দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন পরই গুণবর্ধনেকে নিয়োগ করা হয়। ২০২০ সালের সংসদ নির্বাচনের পর গুণবর্ধনে বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে দেওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। গত এপ্রিলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হন তিনি। এবার দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমসিংহে তাঁকে বেছে নিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সূত্রের খবর, যে যতক্ষণ দেশের বিরোধী দলগুলি দেশ চালাতে সহযোগিতা না করছে, ততক্ষণ পুরনো মন্ত্রিসভার সদস্যদের দিয়ে কাজ চালাবেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। তাঁর বাবা ফিলিপ গুণবর্ধনে ছিলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ জয়প্রকাশ নারায়ণ ও ভিকে কৃষ্ণা মেননের সহপাঠী। ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াইও করেছেন ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী। শ্রীলঙ্কায় সমাজতন্ত্রের জনক (father of socialism in Sri Lanka) ছিলেন ফিলিপ গুণবর্ধনে। দক্ষিণ এশিয়াকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ সালে ফিলিপ ও তাঁর স্ত্রী কুসুমা ব্রিটিশদের নজর এড়িয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতে আসেন। ভারতের স্বাধীনতার জন্য গোপনে লড়াইও করেন তাঁরা। ব্রিটিশ পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। তৎকালীন বম্বের আর্থার রোড জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁদের। পরে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু শ্রীলঙ্কায় গিয়ে ফিলিপ এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আসেন। দীনেশ গুণবর্ধনের ভাবমূর্তিও তাঁর বাবার মতোই স্বচ্ছ্ব। শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রীও যে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব বজায় রাখবেন তা আশা করাই যায়।
আরও পড়ুন: ভূস্বর্গে নির্বাচনের ঘণ্টা, বাদ সাধতে পারে চিল্লাই কলন!
সূত্রের খবর, গুণবর্ধনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় দেশে নতুন করে বিক্ষোভের সূচনা হতে পারে বলেও মনে করছে দ্বীপরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা। নতুন প্রধানমন্ত্রী শুধু পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠই নন, তাঁর দল এসএলপিপি-র সদস্যও বটে। দ্বীপরাষ্ট্রের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষই দায়ি বলে মনে করেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। এই অবস্থায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠকে আদৌও দেশের জনতা মেনে নেবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সন্দেহ।