১০ বছরে ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা হয়েছেন ৫০০ কোম্পানির সিইও...
সুন্দর পিচাই ও সত্য নাদেলা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দর পিচাই, গীতা গোপীনাথ, সত্য নাদেলা কিংবা ঋষি সুনক। এই নামগুলো শুনলেই বোঝা যায় যে বিশ্ব নেতৃত্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা (Pravasi Bharatiya) কত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছেন। ব্রিটিশ সংসদের ১৯ জন সাংসদ বর্তমানে ভারতীয় বংশোদ্ভুতরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিজনেস স্কুলের মধ্যে দুটির ডিনই ভারতীয় বংশদ্ভূতরা। বিশ্বব্যাপী আজ যেন সব কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই দেখা যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের।
যদি আমরা বিশ্ব বাণিজ্যের দিকে তাকিয়ে দেখি, তাহলে সেখানে দেখব যে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব সেখানে রয়েছে। এডোব বলুন গুগলের প্যারেন্ট সংস্থা অ্যালফাবেট বলুন, আইবিএম কিংবা মাইক্রোসফট। এই সবগুলিই চলছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার মাধ্যমে। রয়েছে। বর্তমান বহিঃবিশ্বের ৫০০ নামকরা কোম্পানির সিইও হলেন ভারতীয়রা। তবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের এমন সাফল্য বিগত ১০ বছর ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে এমনটা দেখা যায়নি। ২০১৪ সালের আগে বিশ্বের ১১টি কোম্পানির সিইও ছিলেন ভারতীয়রা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিকর্ন খোলার ক্ষেত্রেও ভারতীয়রা উল্লেখযোগ্য জায়গা রয়েছে।
ভারতীয় সংস্কৃতি বলে সম্প্রীতির কথা, গ্রহণ করার কথা, সহানুভূতির কথা। আমাদের সংস্কৃতি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবান হতে। কঠোর পরিশ্রম করতে এবং সাফল্য পেতে। বিগত কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ক্রীড়া জগতে অথবা বাণিজ্যক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য পাচ্ছে আমাদের দেশ। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এখন একাদশ স্থানে উঠে এসেছে। সাফল্যের মুখ দেখছে প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, লজিস্টিক সমেত অন্যান্য ক্ষেত্র। এর মাধ্যমেই সংযোগ স্থাপিত হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা এবং উৎসবকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদান নজরে পড়ছে।
গুগলের নেতৃত্বে রয়েছে বর্তমানে সুন্দর পিচাই, মাইক্রোসফটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সত্য নাদেলিয়া। বুদ্ধিমত্তার জগতে ভারত সবথেকে শীর্ষে পৃথিবীতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের রোজগার সব থেকে বেশি। সেখানে একটি মধ্যবিত্ত ভারতীয় পরিবার বছরে রোজগার করছেন এক লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার। এটা হল চিন দেশের মানুষের গড় আয়ের দ্বিগুণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের ৮০ শতাংশই স্নাতক ডিগ্রিধারী। একটি সমীক্ষাতে তা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে চিনা প্রবাসীদের মধ্যে মাত্র ৫০ শতাংশই স্নাতক। জোসেফ ন্যাই হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একজন অধ্য়াপক এ নিয়ে বলছেন, ‘‘ কোন দেশ কত সংখ্যা পাঠাল সেটা নয়, কে কোন বংশোদ্ভূত হয়ে আসছেন, সেটাই সাফল্যের ফারাকা গড়ে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।