Gunshot fired: ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজদের হামলা, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি
ট্রাম্পের ওপর হামলা , নিন্দা মোদির (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সভায় বন্দুকবাজদের হামলা। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি (Gunshot fired)। রক্তাক্ত হলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর এমন প্রাণঘাতী হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে বন্ধু বলে সম্মোধন করেন। তিনি লেখেন, ‘‘প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর এমন হামলার কড়া নিন্দা জানাচ্ছি। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই।’’ এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। এদিন নির্বাচনী জনসভা তিনি করছিলেন পেনসিলভেনিয়াতে। হঠাৎ করেই পরপর তিনটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এমনই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে কানে হাত দিয়ে বসে পড়েন। রক্ত (Gunshot fired) দেখার পর বুঝতে পারেন ঠিক কী হয়েছে! পোডিয়ামে তাঁকে আড়াল করে ঘিরে ধরেছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ডানকান থেকে তাঁর রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল। তখনও তিনি ডান হাতের মুঠি শক্ত করে ওপরের দিকে ছুড়ে বলতে থাকেন ফাইট-ফাইট।
সোশ্যাল মিডিয়াতে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত বলেই জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে যে ছবি এসেছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে ঘটনার পরেই তাঁকে দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয়। পরে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগও করে নেন। গুলি চলার সময় জনতাও নিচু হয়ে বসে পড়ে। সভাতে মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণভয়ে অনেকে দৌড়াদৌড়িও শুরু করে দেন। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত এবং তাঁর একসঙ্গে একজন বর্তমানে নিহত হয়েছেন। আরও দুজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাপ্রসঙ্গে ট্রাম্প পরে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি আমার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। ডান কানের উপরের দিকের চামড়া গুলিতে চিরে গিয়েছে।’’ ট্রাম্প আরও বলেন, ‘‘আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। কারণ আমি একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পর কানে ধারালো কিছু অনুভব করেছিলাম। অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর বুঝলাম, আসলে কী ঘটেছে। আমাদের দেশে যে এমনটা ঘটতে পারে, ভাবতেই পারি না। বন্দুকবাজ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তিনি নিহত।’’ দলমত নির্বিশেষে ট্রাম্পের সভায় এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক নেতারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এর নিন্দা করা উচিত।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।