প্রথম কম্পনের ১৯ মিনিট পরে অনুভূত হয়েছে দ্বিতীয় কম্পন...
মরক্কোয় ভূমিকম্পে ধ্বংসের ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরক্কোয় ভূমিকম্পের (Earthquake) বলি এক হাজারেরও বেশি মানুষ। জখম হয়েছেন বহু মানুষ। শুক্রবার রাতে অনুভূত হয় কম্পন। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৮। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৩০০ বাসিন্দাকে।
সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জানান, ক্ষয়ক্ষতির বেশিরভাগটাই হয়েছে শহর ও শহরতলির বাইরে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কত, তা জানার চেষ্টা করছেন মরক্কোর কর্তারা। ভূমিকম্পে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মরক্কোয় ভূমিকম্পে প্রাণহানির জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন মুহূর্তে আমি পাশে রয়েছি মরক্কোবাসীর। যাঁরা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাই। যাঁরা জখম হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কঠিন সময়ে মরক্কোকে সব রকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।”
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, রাত্রি ১১.১১টা নাগাদ শুরু হয় কম্পন (Earthquake)। স্থায়িত্ব ছিল বেশ কয়েক সেকেন্ডের। মরক্কোর ন্যাশনাল সিসমিক মনিটরিং অ্যান্ড অ্যালার্ট নেটওয়ার্কের দাবি, কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭। মার্কিন এজেন্সির দাবি, প্রথম কম্পনের ১৯ মিনিট পরে অনুভূত হয়েছে দ্বিতীয় কম্পন। উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় তুলনামূলকভাবে কম। এদিন যে কম্পন অনুভূত হয়েছে, তার উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ৮০০ কিলোমিটার গভীরে। এর আগে এ দেশে ভূমিকম্প হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেবার কম্পন অনুভূত হয়েছিল উত্তর পূর্বের আল হোসেইমা এলাকায়।
আরও পড়ুুন: নতুন বছরেই খুলছে রামমন্দিরের দ্বার, শুভদিনটি কবে জানেন?
ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিলেন ৬২৮ জন। এর আগে আরও একবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল মরক্কো। আগাদির অঞ্চলের ওই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১২ হাজার মানুষের। এদিন রাতে আচমকাই কেঁপে (Earthquake) ওঠে মরক্কো। কম্পন স্থায়ী ছিল ২০ সেকেন্ড। কম্পনের আঘাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। বাড়ির নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। মারাকাশের বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে চওড়া ফাটলের। ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।