সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরনোর বদনাম রয়েছে চিনের...
প্রতীকী ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: থাবা মেরেছিল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। দেউলিয়া করে ছেড়েছে। হাত দিয়েছিল পাকিস্তানে। সর্বস্বান্ত করেছে। চিনা ড্রাগন এবার হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশের (China Bangladesh) দিকে। এতেই অশনি সংকেত দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, চিন এবার শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো হাঁড়ির হাল করে ছাড়বে শেখ হাসিনার দেশের। সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরনোর বদনাম রয়েছে চিনের।
উন্নয়নের নামে কোনও একটি দেশকে প্রথমে ঋণ দেয় বেজিং। অংশ গ্রহণ করে বিভিন্ন প্রকল্পে। তার পর ধীরে ধীরে দেশটিকে ঋণের ফাঁদে জড়িয়ে ফেলে আষ্টেপৃষ্ঠে। যেমনটা হয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান সহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে। বেজিংয়ের শ্যেন দৃষ্টিতে এবার হাসিনার বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে চিন-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আবদ্ধ ছিল উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মধ্যেই। এর মূল কারণ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ক্ষেত্রে চিনা আগ্রাসন। সম্প্রতি বাংলাদেশে (China Bangladesh) একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে হাত দিয়েছে ড্রাগনের দেশ। তাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জিম্বাবোয়ে, আঙ্গোলা, নাইজিরিয়া, সুদান, সার্বিয়া সহ বিভিন্ন দেশকে। তাই চিনের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বাংলাদেশ ভুল করেছে বলেই এঁদের ধারণা।
এদিকে, বাংলাদেশে চিনা বিনিয়োগ পড়েছে চ্যালেঞ্জের মুখে। বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে পেরার পাওয়ার প্ল্যান্ট গড়ছে চিন। চিনা ঋণও গিয়েছে আটকে। কাঁচামালের অভাব এবং ডলার সঙ্কটের জেরেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। বাংলাদেশ ভিত্তিক এক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই সমস্যগুলি এখনই এড়ানো না গেলে কয়েক মাসের মধ্যেই তালা ঝুলবে পেয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে। বাংলাদেশের (China Bangladesh) বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণের ১৩.৫ শতাংশ লগ্নি চিনের, মার্কিন ডলারের অঙ্কে ৪৬৫.১৭ মিলিয়ন।
আরও পড়ুুন: আগামী বছরও লালকেল্লায় ভাষণ দেবেন মোদি, প্রত্যয় ঝরে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে
একশো শতাংশ চিনা রফতানি কোম্পানি সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড ঢাকা এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনে বিনিয়োগ করেছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই কোম্পানিতে কাজ করছেন সব মিলিয়ে ১০ হাজার কর্মী। হংকং ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড অফিসের ডিরেক্টর শিয়াং ইউয়েন লি বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে লিডিং ইনভেস্টর হল হংকং। আমরা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে লগ্নি করেছি ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।