শনিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে।
63453632_303
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে একেতেই উত্তাল হয়ে রয়েছে ইরান। তারইমধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তেহরানের এভিন জেলে, সঙ্গে চলল গুলিও। হিজাব না পরায় নীতি পুলিশের হেফাজতে বাইশ বছরের যুবতী মাহশা আমিনীর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে (Protest Against Death Of Masha Amini) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ইরান। এরই মাঝে ইরানের এই ঘটনা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। শনিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে। তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।
Gunshots can be heard from Evin Prison and smoke can be seen.#MahsaAmini #IranRevolution#مهسا_امینیpic.twitter.com/ut5Ds0Oup9
— 1500tasvir_en (@1500tasvir_en) October 15, 2022
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে আচমকা তেহরানের কুখ্যাত এভিন জেল থেকে কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখা যায়। ইরান (Iran) হিউম্যান রাইটস-এর ট্যুইটারে শেয়ার করা ভিডিও-তে গুলির শব্দও শোনা যায়। আর শোনা যায়, সরকার বিরোধী স্লোগান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের স্লোগানও শোনা যায় জেলের অন্দর থেকে। এভিন জেলের অন্দরের এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে
উল্লেখ্য, তেহরানের এভিন জেলে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়। হিজাব বিরোধী বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ওই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে কারাগারের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরানের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে আতঙ্কের পরিবারও। কুখ্যাত এই জেলে ফরাসি-ইরানি শিক্ষাবিদ ফারিবা আদেলখাহ, মার্কিন নাগরিক সাইমাক নামাজি-সহ বন্দি রয়েছেন একাধিক বিদেশিও। সাইমাকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন তাঁকে কিছুদিনের জন্য ছাড়া হলেও ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিনও হিজাব বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নামেন ইরানের মহিলারা।
স্থানীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছরের মাহশা আমিনীর মৃত্যু ঘিরেই এভিন কারাগারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারাগারের ভিতর থেকে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। তবে এখনও ইরান (Iran) প্রশাসনের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মাহশা আমিনীকে হিজাব ঠিকমতো না পরায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রতিবাদে সামিল হয় ইরানের মহিলারা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর মধ্যেই জেলে এই ধরণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে (Iran)।