রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন ও হামলাকারীকে ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছেন।
রাশিয়ার ইজেভস্কের স্কুলে হামলা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে রাশিয়ার (Russia) একটি স্কুলে ভয়াবহ ভাবে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এল। রাশিয়ার ইজেভস্কে (Izhevsk) একটি স্কুলকে টার্গেট করে এলোপাথারি গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজ। ওই ঘটনায় ১১ নাবালক পড়ুয়া-সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মধ্যে দু’ জন স্কুলের নিরাপত্তরক্ষী। প্রাণ গিয়েছে স্কুলের ২ শিক্ষকের। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছলেও হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আত্মঘাতী হয় ওই দুষ্কৃতি।
#BREAKING Shots fired at school in central Russia: interior ministry pic.twitter.com/fBKQn4KW9l
— AFP News Agency (@AFP) September 26, 2022
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য রাশিয়ার ইজেভস্ক নামক শহরে। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই ঘটনার পর উদমুর্তিয়া অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন যে, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বন্দুক হাতে এই অঞ্চলের রাজধানী ইজেভস্কের একটি স্কুলে প্রবেশ করেছে, ও সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং কিছু শিশুকে হত্যা করে। অনেকে আহতও হয়েছেন”। এই স্কুলে হামলা চালানোর পর প্রথমে তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছিল যে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, কিন্তু পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ তে পৌঁছায়।
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই স্কুলে হামলা করার সময় আততায়ী কালো পোশাক পরে এসেছিল ও টি -শার্টে নাৎসি চিহ্ন (Nazi symbol on tshirt) ছিল। তবে তার কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গভর্নর ও স্থানীয় পুলিশ জানায়, পুলিশ সেই স্থানে পৌঁছে গেলেও তাদের ধরা যায়নি। কারণ এই হামলাকারী নিজেকেই গুলি করে আত্মহত্যা করে। এই আততায়ী কে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে "অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা" বলে নিন্দা করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, "প্রেসিডেন্ট পুতিন মানুষ, শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন ও হামলাকারীকে ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছেন।“ এছাড়াও বন্দুকবাজের পরনে নাৎসি চিহ্ন লাগানো পোশাক থাকায়, ঘটনার সঙ্গে নব-নাৎসিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।