Ismail Haniyeh: ইরানে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান ইসমাইল হানিয়ের হত্যা, এবার কি বড় যুদ্ধ বাঁধবে?
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহরানে এক ‘গুপ্ত’ হামলায় হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে (Ismail Haniyeh) এবং তাঁর এক দেহরক্ষীকে হত্যা করা হয়েছে। হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীর এই শীর্ষ নেতা ইরানেই ছিলেন। হামাস এবং ইরানের ইসলামিক রেভেনিউশনারি গার্ডস কোরের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইহুদিরা। তবে হামাস জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত করবে তারা। আবার প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র বাহিনীর অবশ্য দাবি, ইজারায়েল (Hamas-Israel) এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও ঠিক কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন পর্যন্ত কাতার থেকেই হামাসের যাবতীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিতেন ইসমাইল। হানিয়ের মৃত্যুতে হামাস (Hamas-Israel) গোষ্ঠী বড় ধাক্কা পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মঙ্গলবারই তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন এই হামাস শীর্ষ কমান্ডার। আবার ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খোমেইনির সঙ্গেও তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন হানিয়ে। কিন্তু ১৯৮৯ সালে হানিয়েকে (Ismail Haniyeh) তিন বছর বন্দি করে রেখেছিল ইজরায়েল। পরবর্তী সময়ে তাঁকে ইজরায়েল এবং লেবাননের মাঝে এক 'নো-ম্যানস-ল্যান্ড' এলাকায় নির্বাসিত করা হয়েছিল। নির্বাসন কাটিয়ে আসার পর ১৯৯৭ সালে হামাস গোষ্ঠীর সদস্য হয়েছিলেন তিনি। অপর দিকে এই ঘটনার পর ইজরায়েলের সেনা মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, “আরও বড় মাপের যুদ্ধ ছাড়াই এই জটিল পরিস্থিতির যাতে সমাধান হয়, সেটাই চায় ইজরায়েল। আমাদের সেনা সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত। যেকোনও রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি।”
আরও পড়ুনঃ আমেরিকায় প্রায় আড়াই লক্ষ অভিবাসী অনিশ্চতায়, বেশিরভাগ ভারতীয়! ফিরতে হবে দেশে?
গত বছর ২০২৩ সালের ৭ অগাস্ট ইজরায়েলের (Hamas-Israel) উপর হামাস আচমকা হামলা করলে দুই দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তারপর থেকে বেশ কয়েক মাস গাজায় ইজরায়েল হামাস-হিজবুল্লা জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ সংগঠিত করে। এই যুদ্ধে প্যালেস্টিনীয় নাগরিকদেরও মৃত্যু হয়ে ছিল। হামাসের অবশ্য দাবি, এখনও পর্যন্ত ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও, ইজরায়েল বার বার হামাসের জঙ্গি কার্যকলাপকে সম্পূর্ণ ভাবে খতম করার কথা ঘোষণা করেছিল। এবার পরিস্থিতি কোন দিকে এগিয়ে যায় সেটাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।