খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু মামলায় দোষারোপের পর উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়
খালিস্তান নিয়ে সুর নরম কানাডার।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে এবার সুর নরম করল কানাডা (Canada)। ভারতের কড়া বার্তার পর উল্টো কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ট্রুডো। জানালেন, কোনও 'উসকানি' দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য করেননি তিনি।
#WATCH | Ottawa: Prime Minister of Canada Justin Trudeau says, "The government of India needs to take this matter with the utmost seriousness. We are doing that, we are not looking to provoke or escalate, we are simply laying out the facts as we understand them and we want to… pic.twitter.com/NyJbdxVJm6
— ANI (@ANI) September 19, 2023
সোমবার কানাডার (Canada) বিদেশমন্ত্রী ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভারতের সম্ভাব্য যোগ থাকতে পারে। কিন্তু, এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ট্রুডোর দাবি, তিনি ভারতকে প্ররোচনা দিতে চাননি বা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাননি। তবে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে পুরোপুরি চটানোরও সাহস দেখাতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বলেন, "অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ভারত সরকারের। আমরা সেটাই করছি। আমরা কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না বা (সংঘাত) বাড়াতে চাই না। পুরো বিষয়টি যাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একেবারে সঠিক পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা।"
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জুন কানাডায় (Canada) একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় হরদীপ সিং নিজ্জরের দেহ। এর পিছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল কানাডা। এক হিন্দু পুরোহিত, সাধারণ হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল হরদীপ। তার বিরুদ্ধে এনআইএ চারটি মামলা রুজু করেছে। মাথার দাম ১০ লাখ টাকা। কানাডায় খালিস্তানি সংগঠনের অন্যতম প্রথমসারির নেতা ছিল হরদীপ। সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় কানাডা। এই ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। খলিস্তানি ভোটব্যাঙ্ককে প্রসন্ন রাখতে ট্রুডোরা যে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেটার মুখোশ খুলে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতে কর্মরত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই কানাডার শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার বিষয়টি সামনে আসে। অবশেষে ভারতের চাপে আসল সত্যি সামনে আনার কথা বলল কানাডা।