Hijab Row: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে পুরুষ বিক্ষোভকারীদের পিঠ, পেছন লক্ষ্য করে গুলি করা হলেও, মেয়েদের যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইরানে চলছে হিজাব বিরোধী আন্দোলন (Hijab Row)। আর সেই আন্দোলন কড়া হাতে দমন করছে ইরানের সরকারি বাহিনী। আর এবার এই বিক্ষোভ চলাকালীন এমন এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছে, যা শুনলে শিউরে উঠবেন আপনি। নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, হিজাব বিরোধী আন্দোলনে মহিলা আন্দোলনকারীদের মুখ-স্তন, এমনকি যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে। আরও জানা গিয়েছে যে, পুরুষ বিক্ষোভকারীদের পিঠ, পেছন লক্ষ্য করে গুলি করা হলেও মেয়েদের যৌনাঙ্গ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে (Hijab Row), মহিলা আন্দোলনকারীদের গুলি করতে পেলেট বন্দুক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর আগে আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠত, আর এখন সরাসরি গুলি চালিয়ে হামলা করার অভিযোগ উঠছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক চিকিৎসক মহিলাদের উপর অত্যাচারের ভয়াবহ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমি বছর ২০-এর এক মহিলার চিকিৎসা করেছি, যাঁর যৌনাঙ্গে দু’টি গুলি লেগেছিল। তাঁর উরুতে আরও দশটি গুলি করা হয়েছিল। এই ১০টি গুলি সহজে বের করা গেলেও যৌনাঙ্গে লাগা গুলি বের করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কারণ মূত্রনালি এবং যোনিপথের মাঝে গিয়ে ওই গুলি দু’টি আটকায়। ”
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসফাহান প্রদেশের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন যে “নিরাপত্তারক্ষীরা মহিলাদের সৌন্দর্য নষ্ট করতে চায়।’ গোপনাঙ্গে আঘাত লাগলে মহিলারা হীনমন্যতায় ভুগবেন বলে সম্ভবত মনে করছে ইরানের বাহিনী। তাই এভাবে মহিলা আন্দোলনকারীদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে (Hijab Row)।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের কবলে মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনার পরেই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ইরানের জনগণ (Hijab Row)। মাহসা-র পরিবারের দাবি, নিয়ম মেনে হিজাবে মাথা ঢেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণী। কিন্তু সেটি আলগা করে জড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে মনে হয়েছিল নীতি পুলিশের। তাই তখনই গ্রেফতার করা হয় মাহসাকে। আর এই ঘটনার তিন দিন পরেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি হেফাজতে নির্মম অত্যাচার করাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ ওঠায় দিকে দিকে শুরু হয় বিক্ষোভ। দেশ জুড়ে হিজাব পরার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য রাস্তায় হিজাব পুড়িয়ে, মাথার চুল কেটে ফেলে, শাসকদলের নেতাদের ছবি পুড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার, সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে (Hijab Row) অংশ নেওয়ার ‘অপরাধে’ ২৩ বছর বয়সি যুবক মহসিন শেকারিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তেহরান প্রশাসন। সে দেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই যুবক। এই ঘটনার জেরে সে দেশে বিক্ষোভের আঁচ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।