ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়ামতপুর গ্রামের দুর্গা মন্দিরে হামলা চালানোর অভিযোগ...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলাদেশে (Bangladeshi Hindus) হিন্দু মন্দির ও মূর্তি ভাঙার অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলায়। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হাসিনা প্রশাসন। খলিল মিঁয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে হিন্দু মন্দিরে ঢুকে বিগ্রহ ভাঙচুর করার। অভিযোগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়ামতপুর গ্রামে অবস্থিত দুর্গা মন্দির বহু প্রাচীন এবং তা স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের (Bangladeshi Hindus) আস্থার প্রতীকও বটে। এখানেই ঢুকে দেবী মূর্তি ভাঙচুর করে ৩৬ বছর বয়সি খলিল। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়।
হিন্দু দেবী মন্দিরে ভাঙচুরের খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায়। নিয়ামতপুর গ্রামের মানুষজন (Bangladeshi Hindus) খলিলকে ধাওয়া করে। ছুটে আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মহম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, খলিল মিঁয়া নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে তার কী উদ্দেশ্য ছিল তা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেন তিনি এমন জঘন্য কাজ করলেন, তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে নিয়ামতপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি জগদীশ দাসের মতে, ‘‘আকস্মিকভাবে ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের (Bangladeshi Hindus) সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।’’
তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, খলিল মিঁয়া নিয়ামতপুর গ্রামে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। বেড়াতে এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের (Bangladeshi Hindus) সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দুর্গা মন্দির এবং পাঁচ থেকে ছয়টি মূর্তি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই মন্দির কমিটির সভাপতি জগদীশ দাস ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু করেন। জানা গিয়েছে তদন্তকারীরা আশ্বস্ত করেছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।