‘‘যারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করেছে, লুট করেছে, সেনা অফিসারদের বাসভবনে হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
শেহবাজ ও ইমরান
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘ইমরান খান (Imran Khan) এবং তাঁর তেহেরিক-ই-ইনসাফ পার্টি সন্ত্রাসবাদীদের চেয়ে কম কিছু নয়’’, এমনই মত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের। তিনি বলেন, ‘‘যারা দেশের সম্পত্তির ক্ষতি করেছে, লুট করেছে, সেনা অফিসারদের বাসভবনে হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আর্থিক সংকটে ভোগা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে বহিঃশত্রুরা যা করতে পারেনি, তাই ইমরান খান (Imran Khan) এবং তাঁর দলের কর্মীরা করে দেখিয়েছে।’’ দেশ জুড়ে এই হিংসা যারা ছড়িয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে আইন এবং সংবিধান অনুযায়ী।’’ প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৯ তারিখ জমি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তারপরেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক অশান্তি, হিংসায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাকিস্তান। বাদ যায়নি পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বাড়িও। তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা। দেশজুড়ে চলা এই হিংসার ঘটনায় ১৫ জনেরও বেশি নিহত হন। কোনও কোনও জায়গাতে কারফিউ অবধি জারি করতে হয় পাকিস্তান সরকারকে। সে দেশের সেনা আধিকারিকদের বাসভবনেও হামলা চালায় তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা।
শুক্রবার রাতে জামিন পান ইমরান খান। তাঁর জামিনের দিনেও হিংসা ছড়ায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বরে। তেহরিক-ই-ইনসাফের সদস্যদের বিরুদ্ধে গুলি চালনার অভিযোগ আনে পুলিশ। এরকম অবস্থায় পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেহবাজ শরিফকে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করারও পরামর্শ দেওয়া হয়। ইমরানের জামিনের পর শেহবাজ সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, যারা হিংসা ছড়িয়েছে তাদের প্রত্যেককে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।
এদিন শেহবাজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের সেনা এই সমস্ত হিংসাত্মক কার্যকলাপকে সমর্থন করবে না এবং যারা এই ধরনের অশান্তির আগুন দেশে ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।