ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
Child_Porn
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিশু পর্নোগ্রাফি (Child Porn) রুখতে দেশজুড়ে অপারেশন চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। সিবিআই- এর এই বিশেষ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন মেঘচক্র' (Operation Meghchakra)। ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির দৌরাত্ম্য রুখতেই এই অভিযান। শনিবার দেশের মোট ২০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
আরও পড়ুন: এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলেও গুণতে হবে টাকা? খসড়া টেলিকম বিলে প্রস্তাব
জানা গিয়েছে, অনলাইনে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই হানা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সাইবার নজরদারি চালিয়ে একাধিক মোবাইল নম্বরে শিশু পর্নোগ্রাফি ডাউনলোড করা এবং ছড়ানোর তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। বিভিন্ন কম্পিউটারে শিশু পর্নোগ্রাফি লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তারই ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন শহুরে নকশালরা, বললেন মোদি
ইন্টারনেটে বাড়তে থাকা শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা রুখতে ২০১৯ সালে বিশেষ সেল গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ‘শিশু যৌন নিগ্রহ এবং যৌন শোষণ বিরোধী’ এই সেলের কাজ হল ইন্টারনেটে নজরদারি করে শিশু পর্নগ্রাফি ছড়ানোর ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া। কিন্তু ধারাবাহিক নজরদারি সত্ত্বেও শিশু পর্নোগ্রাফি-চক্রকে আটকানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি‘জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন’ (NCPCR) ইন্টারনেটে শিশু পর্নোগ্রাফির রমরমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, স্যোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিশুদের পর্নোগ্রাফিদের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের যুক্ত করা হচ্ছে পর্নোগ্রাফিতে। প্রথমে তাদের দিয়ে ফুটেজ তুলিয়ে নেওয়া হয়। তারপর তাকে ব্যবহার করে একদিকে চলে যৌন উত্তেজন ভিডিও তৈরি করা হয়। সেইসঙ্গে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হয় ওই কিশোর-কিশোরীদের। সাম্প্রতিক সময়ে পর্নোগ্রাফি রুখতে এটাকেই সবচেয়ে বড় অভিযান বলছে সিবিাই। ইন্টারপোলের সিঙ্গাপুরের আধিকারিকদের কাছে তথ্য পেয়ে এই অভিযানে নামে সিবিাই।