ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিতে লগ্নি করতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ...
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ১০ অগাস্ট, বুধবার দিল্লিতে (New Delhi) ওই বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নৌ, স্থল ও আকাশ তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। প্রতিরক্ষা (Defence) সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা আরও উন্নত করতেই হয়েছে বৈঠক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বিবেক নারাং ও ব্রিগেডিয়ার হুসেন মহম্মদ রেহমানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে।
ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় নয়াদিল্লির। সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ চিন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন বলেই মনে করে ভারত। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের সেনা অংশ নেবে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণে। তাছাড়া ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এক্সপার্ট ট্রেনিং ও সরঞ্জাম জোগাবে বাংলাদেশকে। সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশই পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। উত্তর পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধেও সহযোগিতা করবে দুই দেশ। এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেউ বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নির্মূলীকরণ এবং সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই দেশই নিয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি।
আরও পড়ুন : দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী
এদিনের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশ মউ (MOU) স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর হয়েছে দুটি চুক্তি। একটি হল ভারতের ডিএসএসসি এবং ঢাকা ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ডের এবং অন্যটি দুই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর। দুটি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিতে লগ্নি করতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই করিডর দুটির একটি হবে উত্তর প্রদেশে, অন্যটি তামিলনাড়ুতে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উন্নতির সুযোগও রয়েছে। ভারত মর্টার, মিসাইল, অস্ত্র এবং রাডার দিয়েও বাংলাদেশকে সামরিক সহযোগিতা করে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৪ শতাংশই আসে চিন থেকে। হাসিনার দেশে একটি নৌঘাঁটি তৈরি করেছে, যেখানে প্রয়োজনের সময় চিনা সাবমেরিন নোঙর করতে পারে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ও চিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিল।