ভারতকে এখন তারা কেউ চটাতে চায় না, তা কানাডাকে হাবভাবে বুঝিয়ে দিল মিত্র রাষ্ট্রগুলি...
বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন ট্রুডো! ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলে বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে কানাডা (India Canada Row)। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ‘মিথ্যেবাদী’ তকমা দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে সাদামাটা একটা বিবৃতি দিলেও, ভারতকে চটাল না ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স।
আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানের প্লাটফর্ম হল ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি আমেরিকা। জো বাইডেনের দেশের পন্থা অবলম্বন করেছে কানাডা ছাড়া ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের বাকি চারটি দেশও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে ঢাল করে চিনের বিরুদ্ধে জোট মজবুত করতে চাইছে আমেরিকা। এজন্য নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাইছে না আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। তাছাড়া আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের পাশাপাশি কোয়াড গ্রুপে রয়েছে ভারতও। সেই কারণেই কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সের চার (India Canada Row) দেশ। আবার দক্ষিণ চিন সাগরে চিনকে রুখতে গেলে ভারতকে পাশে পাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়া। সেই কারণে কানাডার পাশে নেই অস্ট্রেলিয়াও।
অটোয়াজ কার্লেটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক স্টেফানি কার্ভিন বলেন, “পশ্চিমি বিশ্বের হিসেবে চিনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে তাদের প্রয়োজন ভারতকে, কানাডাকে নয়। সেই কারণেই পশ্চিমি বিশ্বের দেশগুলি কানাডার পাশে দাঁড়ায়নি।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার ৩ নম্বরে চলে আসবে ভারত। সেই কারণেও নয়াদিল্লিকে চটাতে চাইছে না পশ্চিমের কোনও দেশ।
আরও পড়ুুন: “রাজনৈতিক স্বার্থে সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়া কাম্য নয়”, কানাডাকে নিশানা জয়শঙ্করের
অথচ নিজ্জর খুনে ভারতকে দোষী সাব্যস্ত করতে হলে ‘বন্ধু’ কোনও দেশের সমর্থন প্রয়োজন। সেই সমর্থন পাচ্ছে না ট্রুডোর দেশ। জঙ্গি খুনে কানাডা মিথ্যে বলছে বলে জানিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ (India Canada Row) প্রকাশ করেছেন ট্রুডোর দলেরই সাংসদ চন্দ্র আর্য। যার জেরে ক্রমেই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছেন ট্রুডো। নাম প্রকাশ করা হবে না এই শর্তে ভারতের এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারত যে কানাডাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত, আমরা তা পরিষ্কার করে দিয়েছি। তবে কোনও প্রমাণ যদি সামনে আসে তাহলেই সেটা করা সম্ভব। কানাডা কখনওই ভারতকে সাহায্য করেনি। বরং ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া গ্যাংস্টারদের আশ্রয় দিয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।