শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে...
সীমান্তে পরিকাঠামো গড়ছে চিন, ভারতকে সতর্ক করল আমেরিকা। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (china) সম্পর্কে ভারতকে (india) সর্তক করল আমেরিকা (america)। লাদাখে (Ladakh) যেসব পরিকাঠামো গড়ে তুলছে চিন (China), তা উদ্বেগজনক। এমনই মন্তব্য করলেন মার্কিন জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন (Charles A Flynn)। ফ্লিন মার্কিন সেনার কমান্ডিং জেনারেল। আমেরিকার তরফে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (Indo Pacific Ocean Region) দেখভাল করেন তিনি।
বছর দুয়েক ধরে লাদাখ অঞ্চলে চিনের সঙ্গে সংঘাত চলছে ভারতের। কয়েকটি বিষয়ে সমাধান সূত্র মিললেও, একাধিক ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কিছু জায়গায় এখনও সংঘাত চলছে। এমতাবস্থায় একাধিক উপগ্রহ চিত্রে স্পষ্ট, চিন লাদাখ সীমান্তে একের পর এক পরিকাঠামো গড়ে তুলে চলেছে। প্যাংগং সো (Pangong Tso) হৃদের ওপর একটি আস্ত সেতু তৈরির কাজও চলছে।
আরও পড়ুন :পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?
সেই প্রসঙ্গেই এদিন সাংবাদিকদের সামনে ফ্লিন বলেন, আমি মনে করি, সেখানে যে পর্যায়ে কার্যকলাপ চালাচ্ছে, তাতে চোখ খুলে রাখা উচিত। ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে যে সব পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, তাতে সতর্ক হয়ে যাওয়া উচিত। ফ্লিনের মতে, সীমান্তে চিনের এই পদক্ষেপ অস্থিতিশীল এবং ক্ষতিকারক। ফ্লিন বলেন, কেবল লাদাখ নয়, হিমালয়জুড়েই চিন এমন পরিকাঠামো গড়ে তুলছে। সম্প্রতি অরুণাচল সীমান্ত নিয়েও সরব হয়েছে ভারত। সেখানেও সীমান্তের কাছে চিন পরিকাঠামো তৈরি করছে বলে অভিযোগ। মার্কিন জেনারেল জানান, এর ফলে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে।
আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?
এদিকে, সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয় প্যাংগং সো হ্রদের চিনা অংশে দ্বিতীয় একটি সেতু তৈরি করছে ড্রাগনের দেশ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) থেকে সেতুটির দূরত্ব কুড়ি কিলোমিটারের কাছাকাছি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টির দিকে নজর রাখছে তারাও। সীমান্ত অঞ্চলে চিন রাস্তা এবং বসতি গড়ে তুলছে বলেও জানা গিয়েছে। কেবল ভারত নয়, জল সীমান্ত নিয়ে ভিয়েতনাম এবং জাপানের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়েছে চিন। ফ্লিন বলেন, বেজিংকে প্রশ্ন করা উচিত, তাদের এত অস্ত্রের প্রয়োজন কেন?
বর্তমানে ভারত সফরে এসেছেন ফ্লিন। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে (General Manoj Pande) সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। কথা হয়েছে যৌথ মহড়া নিয়েও। এ বছরের শেষে হিমালয়ে যুদ্ধের মহড়ায় অংশ নেবে ভারতীয় এবং মার্কিন সেনা। অতি উচ্চতায় লড়াই (High Altitude warfare) কীভাবে করতে হয়, তা শেখাতেই হবে মহড়া। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে হিমালয়ে মহড়া দেওয়ার পরে ভারতীয় দল মহড়া দেবে আলাস্কায় গিয়ে।