শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার, মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট...
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ (Children Armed Conflict) সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে বাদ গেল ভারতের (India) নাম। তবে ওই রিপোর্টে (UN List) রয়ে গিয়েছে ভারতের পড়শি দেশ পাকিস্তানের নাম। সম্প্রতি রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তাতেই দেখা গিয়েছে তালিকায় নেই ভারতের নাম। ২০১০ সাল থেকে ওই তালিকায় নাম ছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। প্রায় এক যুগ পর বাদ পড়ল ভারতের নাম। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুয়েতেরেস বলেন, ভারত বহু দিন ধরেই এই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে। শিশুদের নিরাপত্তা দিতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত সরকার। সেই নিরিখেই তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ভারত। তবে রয়ে গিয়েছে পাকিস্তান।
ফি বছর ‘শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব’ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ (UN List)। রিপোর্টটি তৈরি করেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশ এবং যেসব দেশে সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদ রয়েছে, সেই সব দেশের শিশুদের ওপর সশস্ত্র সংঘাতের প্রভাব কী, তা জেনেই তৈরি হয় রিপোর্ট। পরে তা প্রকাশও করা হয়। ২০২৩ সালে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশের সময় রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘‘শিশুদের সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের গৃহীত ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে রিপোর্ট থেকে ভারতকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’’
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব লিখেছেন, বিশেষ প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর আলোচনার পর এ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে আর কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তা জানানো হয়েছে ভারতকে। তার পরেই আসে রিপোর্ট। যেসব দিকের কথা শুধরে নিতে বলা হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল কোনওভাবেই যেন শিশুরা সশস্ত্র (UN List) বাহিনীতে অংশ না নেয়। প্রাণঘাতী কোনও কাজে শিশুদের অংশগ্রহণ করা চলবে না। শিশুদের হাতে যেন পেলেট গান না ওঠে। যদি কোনও অপরাধে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতের পরিস্থিতিতে আটক করতে হয়, তা যেন সর্ব শেষ পদক্ষেপ হয়। আটক করা শিশুদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা চলবে না। ভারতীয় আইনে থাকা জুভেনাইল জাস্টিস সংক্রান্ত আইনও অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে বলেও বার্তা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুুন: “কোরান নিয়ে যদি এমন ভুল দেখান,” ‘আদিপুরুষ’ মামলায় আদালতের ভর্ৎসনা নির্মাতাদের
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশুদের ওপর সশস্ত্র (UN List) সংঘাতের প্রভাব সংক্রান্ত রিপোর্টে নাম ছিল ভারতের। এই তালিকায় ছিল পাকিস্তান, ক্যামেরন, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্স সহ বেশ কয়েকটি দেশের নামও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জম্মু-কাশ্মীরে শিশুদের সশস্ত্র সংঘাতে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী এমন বহু শিশুকে আটকও করেছে। সেই কারণেই রয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।