অনুরোধ করলে গম রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে...
এদেশ থেকে কেনা গম বেচতে পারবে না আমদানিকারী দেশ, শর্ত ভারতের। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) থেকে কেনা গম (Wheat) নিয়ে ব্যবসা করা চলবে না। এই মর্মে লিখিত অঙ্গীকার দিতে হবে। তবেই গম রফতানি করবে নয়াদিল্লি (New Delhi)। ভারতের এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই চার মাসের জন্য ভারত থেকে কেনা গমের ওপর রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক দেশ ভারত। তবে তাপপ্রবাহের কারণে আগের বছরের তুলনায় এবার গমের উৎপাদন কমেছে প্রায় সাড়ে চার শতাংশ। তাই গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নয়াদিল্লি। যদিও পরে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দেয়, কোনও দেশ অনুরোধ করলে সে দেশে গম রফতানির অনুমতি দেওয়া হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গম রফতানি। যুদ্ধরত দুই দেশ বিশ্বের মোট রফতানির ৩০ শতাংশ গম সরবরাহ করে। যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ায় তারা আর ওই পরিমাণ গম সরবরাহ করতে পারছে না। গম রফতানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতও। এই সব কারণেই বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।
এরই সুযোগ নিতে থাকে বিভিন্ন দেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। মোটা মুনাফার লোভে তারা ভারত থেকে আমদানিকৃত গম ভিন দেশে রফতানি করতে শুরু করে। এর পরেই ভারত "নো-রিএক্সপোর্ট" মুচলেকা চায়। নয়াদিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যে দেশ ভারত থেকে গম আমদানি করবে, তারা সেটা কেবলমাত্র নিজেদের দেশে বসবাসকারী মানুষের জন্যই ব্যবহার করতে পারবে। এর পরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহি আগামী চার মাসের জন্য গম রফতানিতে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা।
কিছুদিন আগেই জারি করা এক নির্দেশিকায় ভারত জানিয়েছিল, যে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে গম রফতানি করা প্রয়োজন, সেই দেশে সরকারের অনুমতিক্রমে গম রফতানি চলতে পারে। আরও বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে গমের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারত ও তার আশপাশের দেশগুলিতে খাদ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই সূত্রেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতে গম রফতানিতে রাজি হয়েছে ভারত।