g7 summit: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাত
হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদান মোদির। ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে মোদি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে স্বাভাবিক পড়শিসুলভ সম্পর্কই চায় ভারত। কিন্তু উভয় দেশকেই একইভাবে সহনশীল, শান্তিপূর্ণ মনোভাব ধরে রাখতে হবে। জি-৭ বৈঠকে অংশ নিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জি৭ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার জাপান পৌঁছেছেন তিনি। শনিবার তিনি জি-৭ বৈঠকে অংশ নেন। জি-৭-এর মঞ্চেই নিজের কথা জানান মোদি।
ভারত বারবার পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা চলিয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের আবহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। আর এই ব্যাপারে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করাটা অবশ্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব। সম্মেলন শুরুর প্রাক্কালে এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সীমান্তপারের সন্ত্রাস দমনে ইসলামাবাদের সহযোগিতা চেয়ে আগেও একাধিক বার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। সন্ত্রাস ও শান্তি আলোচনা যে সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে না, সরাসরি তা-ও বলেছে ভারত।
চিনকেও এক হাত নিয়ে মোদি বলেন, ভারত তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় সম্পূর্ণ ভাবে প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মোদির (Narendra Modi) কথায়, "চিনের সঙ্গে সাধারণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে গেলে সীমান্তে শান্তি বজায় রাখাটা আগে দরকার। চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে পারস্পরিক সম্মান, পারস্পরিক স্বার্থ ও সংবেদনশীলতার উপরে।" ইন্দো-চিন সীমান্ত বরাবর শান্তি ও সুস্থিতি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা। আবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত বরাবর কোনও অংশ দখলে নেওয়ার মত আচরণও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। চিনের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক হলে তাতে শুধু ভারত বা চিনের নয়, গোটা বিশ্বেরই উপকার হবে, বলে জানান মোদি।
আরও পড়ুন: ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর প্রতীক! ২৮ মে উদ্বোধন নতুন সংসদ ভবনের
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার আমন্ত্রণে তিন দিনের জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার জাপানে পৌছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মাল্যদানও করেন তিনি। তাঁর কথায়,"হিরোসিমার নাম শুনলে আজও পৃথিবী যেন আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। জাপানে জি সেভেন বৈঠকে যোগ দিতে এসে আমি মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছি। হিরোসিমাতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপন অহিংসার বার্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।" প্রধানমন্ত্রীর হিরোসিমাতে আসার পর থেকেই সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা।
PM @narendramodi unveils a bust of Mahatma Gandhi in Hiroshima, Japan. pic.twitter.com/RmZobqj9d2
— PMO India (@PMOIndia) May 20, 2023
২০০৩ থেকে জি-৭ বৈঠকে অংশগ্রহণ করছে ভারত। সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকের শেষ দু'দিন নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পেতে পারে ভারত। বৈঠকের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi)। শনিবারই রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথমবার মোদির সঙ্গে হিরোশিমাতেই সামনা-সামনি দেখা হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি জেলেনস্কির। এর আগে একাধিক বার ফোনে কথা হয়েছে দু'জনের।
PM @narendramodi held talks with President @ZelenskyyUa during the G-7 Summit in Hiroshima. pic.twitter.com/tEk3hWku7a
— PMO India (@PMOIndia) May 20, 2023
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ বেছে নিলেও, ভারত বরাবর নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে ভারত। একই সঙ্গে মাসখানেক আগে অতিরিক্ত ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম চেয়ে মোদিকে (Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন জেলেনস্কি। সদর্থক সাড়া দিয়েছিল ভারত। এই আবহে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির মুখোমুখি বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।