Infiltration: ভারতে অবৈধভাবে ঢুকতে গিয়ে ১১ বাংলাদেশি গ্রেফতার, অনুপ্রবেশ আটকানো চ্যালেঞ্জ বিএসএফের...
সীমান্তে পাহারা দিচ্ছে বিএসএফ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদেশে শরণ পাওয়ার আশায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কয়েকটি সেক্টরে এখনও ভিড় করছেন বাংলাদেশিরা। যাদের একটা বড় অংশ আসলেই নির্যাতনের শিকার বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর কয়েক হাজার বাংলাদেশি ভিড় জমিয়েছিলেন সীমান্তে। নিরাপত্তার ফাঁক গলে বহু বাংলাদেশি ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ। বিএসএফ জানিয়েছে, ১১ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা অবৈধ অনুপ্রবেশের (Infiltration) অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে, অপর দুই গ্রেফতার হয়েছে ত্রিপুরা সীমান্ত থেকে। সাতজনকে মেঘালয় সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের সকলের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, তবে সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের দুই অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে একজন আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। ধৃতকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হয়। জানা যায়, তার কাছে ভারতে ঢোকার অনুমতি পত্র (visa) ছিল না। এই প্রেক্ষিতে, ভারত-বাংলা সীমান্তে আর নজবদারি বাড়িয়ে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ হাজার জওয়ানকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বহু জায়গায় রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের (Infiltration) সুযোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু নদী-নালা, বন জঙ্গল ঘেরা এলাকা রয়েছে। সব জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। যার ফলে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ফাঁক গলে অনুপ্রবেশ হয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গে বিএসএফ কথোপকথন চালিয়ে অনুপ্রবেশ রুখে দেওয়ার (Bangladesh Crisis) যথাসম্ভব চেষ্টা চালাচ্ছে। বিএসএফের নর্থইস্ট কমান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ‘নো ম্যান্স ল্যান্ড’-এ ঢুকে পড়লেও কেউই ভারতীয় সীমান্তে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেননি। অনেককেই বুঝিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন অবধি বিএসএফের ওপরে হামলার ঘটনা বা জোর করে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়নি।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের (Bangladesh Crisis) পর, গোটা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে। এর মাঝে ৯ অগাস্ট প্রায় ১,৭০০ বাংলাদেশি নাগরিক নদীপথ পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার সেক্টরে ভারতীয় সীমান্তের কাছে ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ চলে আসেন। বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁদের শান্তিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে কথাবার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের কেউই কেউই সশস্ত্র ছিলেন না এবং জোর করে ভারতে ঢোকার (Infiltration) চেষ্টাও করেননি। অন্যদিকে, এদিনই ১০-১৫ জন বাংলাদেশি হিন্দুদের একটি দল অসমের ধুবরি জেলায় ভোগডাঙ্গা সীমান্তের কাছে দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিজিবির সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘‘ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু’’, জানাল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক
অসম এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, তাঁদের সীমান্ত সুরক্ষিত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে কেউই ভারতে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করেনি। যদিও প্রত্যেকদিন কোথাও না কোথাও অত্যাচারের শিকার বাংলাদেশি হিন্দুরা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসার চেষ্টা করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
Tags:
Madhyom
Bangladesh
Sheikh Hasina
Infiltration
bangla news
Bengali news
Bangladesh army
Bangladesh Awami League
Awami League
seikh hasina
Latest bangla News
Bangladesh protest
Unrest in Bangladesh
bangladesh unrest
bangladesh crisis
Bangladesh News Update
Fall of Hasina
Hasina Left Bangladesh
ISI Operation
Bangladesh Government Fall
Bangladesh Political Crisis
Government Collapse
Bangladesh Politics
Sheikh Hasina Government
Bangladesh Opposition
Bangladesh Latest News
All eyes on Bangladeshi hindus
Bangladesh Violance
Political Instability in Bangladesh
News in Bengali bangladesh unrest
All eyes on Bangladesh
Bangladesh Crisis