সান ফ্রান্সিসকোতে মার্কিন-চিনা রাষ্ট্রপতির বৈঠক...
মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং মধ্যপ্রাচ্যে সংকট এবং তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই সান ফ্রান্সিসকোতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে (International Relation) স্থিতিশীল করার বিষয় প্রাধান্য পাবে। সেই সঙ্গে ইজারায়েল-হামাস যুদ্ধকে প্রশমিত করার বিষয়ও আলোচানা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এটাও অনুমান করা হচ্ছে যে হামাসে বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে সমর্থন করেছে। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তাইওয়ানের সীমান্ত রেখায় চিনের গতিবিধি প্রবল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্নায়ু যুদ্ধ ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি করেছে। তাই মার্কিন-চিনের বৈঠক কী বার্তা দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই বছর দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। এরপর ইন্দনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সস্মলনে এই দুই রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। বিগত মাসগুলিতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বেজিংয়ে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল চিনের সঙ্গে সংবাদের মাধ্যমে দুই দেশের উত্তেজনাকে (International Relation) প্রশমিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে চিনের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যৌথ সম্পর্কের অস্থিরতার দ্বন্দ্ব যেন ক্রমশ কেটে যায়।
আর্থিক সম্পর্কের গতি বাড়বে
বেজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের স্থিতিশীলতা (International Relation) চায়, কারণ মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসাকে চিনে আকৃষ্ট করতে আগ্রহী। দুই দেশের উত্তেজনা সত্ত্বেও, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৭৮৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২২ সাল পর্যন্ত, চিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফডিআই ছিল ১২৬.১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনা বিনিয়োগ ছিল ২৬.৮৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র চিনকে আশ্বস্ত করেছে যে আমেরিকা তার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ছিন্ন করতে চায় না।
মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটকে কাটাতে বাইডেন কি চিনের মধ্যস্থতা চাইবেন ইরানকে বোঝাতে? কারণ ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরোপুরি উল্টো অবস্থানে মত পোষণ করে ইরান। সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক (International Relation) অনেকটাই ভালো বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এই মধ্য প্রাচ্যের সঙ্কটকে মোচন করতে বাইডেন-শি জিনপিং-এর বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহলের একাংশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।