ব্রিটেনে পরের বছর নির্বাচন, জনমুখী প্রকল্প নিতেই কি সিগারেট বন্ধ হচ্ছে?
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের আগামী প্রজন্মের মানুষকে সিগারেট থেকে মুক্তি দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Pm Rishi Sunak )? অতি শীঘ্রই ব্রিটিশ সরকার সিগারেটের বিক্রিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। তরুণ প্রজন্মকে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই সিগারেটের নেশা থেকে মুক্ত করতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ব্রিটেনকে দূষণমুক্ত করাই কার্যত সরকারের উদ্দেশ্য। ব্রিটেন সরকারের সূত্রে গার্ডিয়ান নামক সংবাদ সংস্থা এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে জানা গেছে। আর তাকে ঘিরেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ব্রিটেনে কি বন্ধ হবে ধূমপান?
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটেন সরকারের মুখপাত্র মেইল করে জানিয়েছেন, ব্রিটেন সরকারের (Pm Rishi Sunak ) উদ্দেশ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধোঁয়ামুক্ত করা। আর সেই লক্ষ্যেই নাগরিকদের সিগারেট বন্ধ করার জন্য নানা উৎসাহ দেওয়ার কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয়। আরও বলা হয়, ব্রিটেন সরকার সিগারেটমুক্ত সমাজ গড়তে নানা নিয়ম আনতে চলেছে। এমনকি গর্ভবতী নারীরা যেন সিগারেট বর্জন করেন, সেই বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটেন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (Pm Rishi Sunak ) নাগরিকদের ই-সিগারট বা ভ্যাপ কিট গ্রহণ করার কথা বলেছেন। এই ই-সিগারেট অনেক বেশি নিরাপদ। সিগারেটের তুলনায় স্বাস্থ্যের ক্ষতি অনেক কম করে। এই ই-সিগারেট সরকার বিনামূল্যে বিলি করছে বলেও প্রতিবেদনে জানা গেছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ই-সিগারেট বিলির বিষয়ে এই বছর থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী বছর হতে পারে ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। আর তাই ব্রিটেনের সাধারণ মানুষকে জনমুখী পরিকল্পনা উপহার দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী সুনক। আর তাই, ধোঁয়ামুক্ত সমাজ গড়তে, সিগারেট নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছেন বলে মনে করছেন সেই দেশের রাজনীতির একাংশের মানুষ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।