Bangladesh: লক্ষ্য ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি! তাই কি বাংলাদেশে রেভল্যুশনারি আর্মি গড়ছে আইএসআই?...
অশান্ত বাংলাদেশের খণ্ডচিত্র। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। কারণ বিভিন্ন পক্ষ এই দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় লিপ্ত। বাংলাদেশকে এই ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা আইএসআইয়ের (ISI) কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ এতে তারা শুধু যে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে তা নয়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে হওয়া অপমানের প্রতিশোধও নিতে পারবে কড়ায় গন্ডায়।
সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের প্রধান হন মহম্মদ ইউনূস। আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের মতে, এটি একটি সাজানো ছাত্র আন্দোলন। যে আন্দোলনের লক্ষ্যই ছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করে রাষ্ট্রের রাশ কবজা করা। আইএসআইয়ের এই উদ্দশ্যে একশো শতাংশ সফল (ISI)। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, ইউনূস বর্তমানে আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। বাংলাদেশে ছাত্রদের এই আন্দোলন নিয়ে সবসময়ই সন্দেহ ছিল। এটি একটি পুরনো কৌশল, যা সিআইএ বহুবার ব্যবহার করেছে। ছাত্রদের দিয়ে সরকার পতনের জন্য এবং পরে কোনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য। এখন সিআইএর ইউক্রেন কৌশল বাংলাদেশের জন্য ব্যবহার করেছে আইএসআই। মস্কোপন্থী সরকার পতনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এই কৌশলই।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি আর্মি নামে একটি নতুন জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, যা ইউনূস-সমর্থিত অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্টের (এডিএসএম) নেতারা পরিচালনা করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে এটি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। কেননা, এই গোষ্ঠী সশস্ত্র আন্দোলনের ডাক দেয়। অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট একটি ইসলামি বিপ্লবী আন্দোলন শুরুর পরিকল্পনা করছে। পৃষ্ঠপোষকতা (Bangladesh) করছেন জর্জ সরোস, বারাক ওবামা, বিল এবং হিলারি ক্লিনটনের মতো মানুষ। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস এঁদের অনুসারী। তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে ক্লিনটন, ওবামা এবং সরোসের। বাংলাদেশের এই ছাত্র আন্দোলনটি একটি সশস্ত্র সংগ্রামে রূপান্তরিত হওয়া শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের পক্ষেও উদ্বেগের। কারণ নয়া এই আন্দোলন পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মদতপুষ্ট।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ঘাঁটি গাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন স্টুডেন্ট মুভমেন্ট। নয়া সংগঠনে যোগদানের জন্য বহু যুবককে আহ্বানও জানিয়েছে তারা। নয়া এই গোষ্ঠী তৈরি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামি উগ্রপন্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় বই কি! এই গোষ্ঠী গঠিত হলে, অস্থিরতা সৃষ্টি করার কাজে লিপ্ত হতে পারে। যার জেরে এক বিপজ্জনক যুগের সূচনা হতে পারে ভূ-রাজনীতিতে। ইসলামিক বিপ্লবী সেনাবাহিনীর গঠন শেষ হবে এই মাসের শেষের দিকে। এডিএসএমের তরফে আশিকুর রহমান জিম জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে তিন দিনের একটি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হবে। পরে, সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীকে দিয়ে এক মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালিত হবে।
জানা গিয়েছে, নয়া দলটি সিআইএর স্ট্র্যাটেজি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছে। একই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল রাশিয়া-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য। এখানে বিদ্রোহী ছাত্ররা একটি মিলিশিয়া গঠন করেছিল। পরে তাণ্ডব চালিয়ে রাজ্যের পরিকাঠামো ধ্বংস করেছিল। এটি পুলিশ বাহিনী ধ্বংস করার পাশাপাশি ইউক্রেনের রুশভাষী জনগোষ্ঠীকে বিশেষভাবে টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশেও আইএসআই একই কাজ করতে চায়। এবং শেষ পর্যন্ত এটিকে পাকিস্তানের মতো একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এর মাধ্যমে আইএসআই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে চায়। তাছাড়া বাংলাদেশ অস্থিতিশীল হলে তা হবে ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে দুঃস্বপ্ন স্বরূপ। এর পাশাপাশি, এই ছাত্র মিলিশিয়া বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করবে। এরাই অত্যাচার করছে হিন্দুদের ওপর।
জানা গিয়েছে, আইএসআই স্পেশাল সার্ভিসেস গ্রুপকে (এসএসজি) এই ছাত্রদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে দুবাই এবং কাতারে বৈঠকও করেছে তারা। এই এসএসজি অতীতে হিজবুল-উত-তাহরিরের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই মিলিশিয়া একা কাজ করবে না। আপাতত এর ভূমিকা বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। আর এসএসজি-প্রশিক্ষিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজব-উত-তাহরির ভারতে হামলা চালাবে। এজন্য সম্প্রতি এসএসজি ৩০০ জন জঙ্গিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছে (ISI)।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ধৃত দুই জঙ্গি মণিরুল-আব্বাস কী কাজ করত? চালচলন নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
ইউনূস সরকারের কারণে পাকিস্তানের কাজ সহজ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিদের প্রতিটি দাবিই মেনে নিয়েছে ইউনূস সরকার। বাংলাদেশের জলসীমা উন্মুক্ত করার ফলে পাকিস্তান সমুদ্রপথে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। ইতিমধ্যেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক পাচারে ব্যবহৃতও হচ্ছে। সমুদ্রপথটি ব্যবহৃত হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের বাংলাদেশে পাঠানোর কাজে। তার জেরেই অশান্তির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। যা ক্রমেই মাথাব্যথার (ISI) কারণ হয়ে উঠছে ভারতের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।